এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। গুজরাটের আমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে সবে উড়েছিল। আর টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্য়েই ভেঙে পড়ল লন্ডনগামী বিমান। ২৪২জন ছিলেন ওই বিমানে। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। ভেঙে পড়ল আমদাবাদে।
আর সূত্রের খবর, ভেঙে পড়ার আগে এটিসির কাছে মে-ডে কল পাঠিয়েছিলেন পাইলট। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে এসেছিল সেই কল। এরপরই বিমানের সঙ্গে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপরই ভেঙে পড়ে এই বিমান। একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বিমানের পাইলট ছিলেন অত্যন্ত অভিজ্ঞ।
সূত্রের খবর, ৬২৫ ফুট উচ্চতার পরেই নামতে শুরু করে বিমান। তারপরই বিমানটি ভেঙে পড়ে।
মে-ডে কল আসলে কী?
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এই Mayday Call হল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিপদের সিগন্যাল। মূলত প্রাথমিকভাবে এটা বিমানের ক্ষেত্রে ও নৌপথে ব্যবহার করা হয়। মূলত বড় কোনও বিপদে পড়লে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই মে ডে কল করা হয়।
এটা আসলে একটা ফরাসি একটা শব্দবন্ধ। maider-এর মানে হল, আমাকে সাহায্য় করো।
এটা প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল ১৯২০ সালে। এটা বর্তমানে একটা স্ট্যান্ডার্ড প্রটোকল বলে ধরা হয়। সাধারণত তিনবার এই কল করা হয়। মে ডে, মে ডে, মে ডে। মূলত যাতে ভালোভাবে এটিসি বুঝতে পারে সেকারণেই এই মে ডে কল করা হয়। অন্তত তিনবার এই ধরনের কল করা হয়।
কে এই মে ডে কলটি ইস্যু করেন?
বিমানের ক্ষেত্রে পাইলট ও জাহাজের ক্ষেত্রে ক্যাপ্টেন এই মে-ডে কল ইস্যু করেন। মূলত তাঁর হাতেই এই বিমানের পরিচালনার ভার থাকেন। তিনি যদি বুঝতে পারেন যে বড় কোনও দুর্ঘটনার মুখে পড়তে চলেছে বিমান তখন এই ধরনের কল করা হয়।
সাধারণ নানা ধরনের বিপদের মুখে পড়ে এই ধরনের কল করা হয়। ইঞ্জিনের যদি কোনও ত্রুটি ধরা পড়ে, যদি বিমানে আকাশে থাকার সময় আগুন ধরে যায়, যদি বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তবে এই ধরনের কল করা হয়। মূলত সাহায্য চেয়ে এই ধরনের কল করা হয়। রেডিওর মারফৎ এই কল করা হয় বিমান থেকে এটিসির কাছে। কিছুক্ষেত্রে কাছাকাছি যে বিমানটি রয়েছে সেই বিমানও প্রয়োজনে এটিসির কাছে এই ধরনের কল করে। এটা বিশেষত হয় না। তবুও যদি সংশ্লিষ্ট বিমানটি এই মে ডে কল ইস্যু করতে না পারে তাহলে এটা করা হয়।
এই মে ডে কল পাওয়ার পরেই সতর্ক হয়ে যায় এটিসি। বিমান তার লোকেশন জানিয়ে দেয়। আপৎকালীন সব ব্যবস্থা শুরু করে দেয় এটিসি।