নিয়ম ভেঙ্গে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন করা হচ্ছে গোটা দেশে। আর এরমধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলা। সম্প্রতি সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার অথরিটি (সিজিডব্লিউএ) একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। তাতেই এমন তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে বেআইনিভাবে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন নিয়ে রাজ্যভিত্তিক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এই অনুযায়ী, বাংলায় বেআইনিভাবে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে ৩৫৫৬টি। এছাড়াও, বেআইনিভাবে জল উত্তোলনের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? কত জরিমানা ধার্য বা আদায় করা হয়েছে? সে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
আরও পড়ুন: চলতি বছরেই ভূগর্ভের মিষ্টি জল পাবে রাজারহাটের ৫ ওয়ার্ড, দাবি পুরনিগমের
সিজিডব্লিউএ-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলায় ৪৫টি বেআইনি নলকূপ বন্ধ করা হয়েছে এবং জরিমানা ধার্য হয়েছে ১ কোটি ৮৫ লক্ষ। এরমধ্যে দেড় কোটি টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে। বেআইনিভাবে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলনের ক্ষেত্রে বাংলার পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাট। এই রাজ্যে বেআইনিভাবে জল উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে বাংলার অর্ধেকের কম। তবে জরিমানা ধার্য ও আদায় হয়েছে অনেক বেশি। গুজরাটে ১৭৫৯টি অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে জরিমানা আদায় হয়েছে।
এক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ ১১ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। এরমধ্যে ২৭৮-এর ক্ষেত্রে পরিবেশগত ক্ষতির কারণে ১০ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা আদায় হয়েছে। মহারাষ্ট্রে এরকম অভিযোগ রয়েছে ৬৫২টি। এক্ষেত্রে ৫ কোটি ৯৬ লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় হয়েছে। পরিবেশগত ক্ষতির কারণে ১৩৮টির ক্ষেত্রে জরিমানা ধার্য হয়েছে ৪ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা। এছাড়াও হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, লাক্ষাদ্বীপ, চণ্ডীগড়, দিল্লি, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, জম্মু-কাশ্মীরে এরকম বহু অভিযোগ রয়েছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভুগর্ভস্থ জল নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে একটি মামলা হয়েছে। সেই সংক্রান্ত মামলাতেই এমন রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। বেআইনি গভীর কূপের মাধ্যমে শিল্প ক্ষেত্র, হাউসিং প্রকল্প, কলকারখানায় বাণিজ্যিকভাবে জল ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, অধিকারিকরা জানাচ্ছেন ভূগর্ভস্থ জলের বিষয়টি রাজ্য সরকারের অধীনে থাকলে নজরদারি ক্ষেত্রে কেন্দ্রেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ফলে রাজ্য কেন্দ্রের সমন্বয়ে গোটা বিষয়টি দেখা হয়ে থাকে। যদিও এক্ষেত্রে বাংলায় যে জরিমানা হওয়ার কথা তার অনেক কম হয়েছে বলেই মনে করছেন আধিকারিকদের একাংশ।