মন্দিরগুলিকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার দাবি জানালো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এই দাবিতে দেশব্যাপী ‘জনজাগরণ’ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের বক্তব্য, মন্দিরগুলিতে সরকারি নিয়ন্ত্রণের ফলে হিন্দুদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। স্বাধীনতার পরেও হিন্দু মন্দিরগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রেখেছে সরকার। অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: অশোক চক্রের বদলে আরবিতে লেখা কলমা! তিরঙ্গার অপমানে ক্ষুব্ধ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পারন্দে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ভারতের স্বাধীনতা সত্ত্বেও, হিন্দু মন্দিরগুলির উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রয়েছে। অথচ গীর্জা এবং মসজিদগুলি এই ধরনের নজরদারির বাইরে রয়েছে।’ বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র ১১টি রাজ্যেই ২০ থেকে ৫০ হাজার মন্দির সরকারি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটি একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে হিন্দু মন্দিরগুলিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মাধ্যমেই পরিচালনা করা উচিত।’
তিনি জানান, আগামী ৫ জানুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায়‘ হায়ন্দব শঙ্খারাভম’ নামে একটি বিশাল সমাবেশের মাধ্যমে প্রচার শুরু করা হবে। ইতিমধ্যেই ২ হাজারের বেশি গ্রামে গিয়ে এনিয়ে প্রচার চালিয়েছে পরিষদ। এই কর্মসূচিতে ২ লক্ষের বেশি লোক অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।