২ এপ্রিল থেকে পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করতে চলেছে আমেরিকা। এই আবহে ভারতের ওপর কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এহেন পরিস্থিতিতে ৩১ মার্চ 'লিবারেশন ডে ট্যারিফ' নিয়ে মুখ খুললেন হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট। তিনি একটি চার্ট তুলে ধরে অভিযোগ করেন, ভারত, জাপান, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমেরিকার সঙ্গে অন্যায্য বাণিজ্যিক অনুশীলন করে চলেছে। এই আবহে তাঁর বক্তব্য, 'বুধবারের (পারস্পরিক শুল্ক আরোপের) লক্ষ্য দেশ ভিত্তিক শুল্ক, সেক্টর ভিত্তিক শুল্ক। প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে তিনি সেগুলি বাস্তবায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং তিনি কখন এই নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা করবেন, তা আমি তাঁর উপরেই ছেড়ে দেব।' (আরও পড়ুন: খলিস্তানি পান্নুনের হাত থেকে ডোভালকে 'বাঁচায়' মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা!)
আরও পড়ুন: 'ওপারে প্রভু চিন্ময়,এপারে প্রভু হিরন্ময়', দাসপুরে সন্ন্যাসীর ওপর হামলার অভিযোগ
এরপর লেভিট বলেন, 'আপনি যদি বিভিন্ন দেশের অন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলনগুলি দেখেন... আমেরিকান ডেইরিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। আমেরিকান চালের উপর জাপান ৭০০ শতাংশ শুল্ক চাপায়। আমেরিকান কৃষি পণ্যের উপর ভারত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। আমেরিকান মাখন এবং আমেরিকান পনির উপর কানাডা প্রায় ৩০০ শতাংশ ট্যারিফ বসিয়েছে। এর ফলে এই সব দেশে মার্কিন পণ্য বিক্রি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।' (আরও পড়ুন: উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে উস্কানি দিতে 'চিনকে ডাকলেন' ইউনুস, পালটা তোপ মুখ্যমন্ত্রীর)
এর আগে লাগাতার ভারতীয় শুল্ক নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের মার্কিন সফরের সময়ই তিনি এই সব মন্তব্য করেছিলেন। 'ভিনদেশ' থেকে আসা কৃষিপণ্যকে 'নোংরা' আখ্যা দিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন ট্রাম্প। রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইছে যে কৃষি ক্ষেত্রে আমেরিকাকে যাতে ভারত তাদের বাজারে প্রবেশাধিকার দেয় এবং শুল্ক কমায়। (আরও পড়ুন: সন্তান কার? সামনে চলে এল '১৪ বাচ্চার বাবা' ইলন মাস্কের 'কেচ্ছা')