বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > বিমানবন্দরে গ্রিন কার্ডধারীকে নগ্ন করে জিজ্ঞাসাবাদ! প্রশ্নের মুখে ট্রাম্প প্রশাসন
পরবর্তী খবর
এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে গ্রিন কার্ডধারী এক জার্মান ব্যক্তিকে নগ্ন করে জিজ্ঞাসাবাদের অভিযোগ উঠেছে। ৩৪ বছর বয়সি জার্মান নাগরিক ফ্যাবিয়ান শমিটকে গত ৭ মার্চ ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের লোগান বিমানবন্দরে অভিবাসন আধিকারিকরা আটক করেছেন। এরপর তাঁর পরিবার অভিযোগ করে, ফ্যাবিয়ান শমিটের সঙ্গে নির্মম আচরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন -Meta: স্ত্রীয়ের সঙ্গে কোম্পানির তথ্য শেয়ারের অপরাধ! বোনাসের আগেই বরখাস্ত মেটা কর্মী
নিউজউইকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শমিট কৈশোর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং বর্তমানে নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা। লুক্সেমবার্গ সফর শেষে ফেরার সময় তাঁকে আটক করা হয়। পরিবারের দাবি, শমিটকে গ্রেফতার করে বিবস্ত্র করা হয় এবং উগ্রভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে রোড আইল্যান্ডের সেন্ট্রাল ফলসে অবস্থিত ডোনাল্ড ডব্লিউ ওয়াট আটক কেন্দ্রে পাঠানো হয়। শমিটের পরিবার আরও জানিয়েছে, তার গ্রিন কার্ড সাম্প্রতিককালে রিনিউ করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে কোনও আইনি মামলাও নেই। তবু কেন তাকে আটক করা হয়েছে, তা তারা জানেন না। শমিটের সঙ্গী তাকে বিমানবন্দরে নিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু চার ঘণ্টা অপেক্ষার পরও কোনও খবর না পেয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বর্তমানে পরিবার তার মুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
শমিটের মা আস্ট্রিড সিনিয়র বলেন, ‘শুধু বলা হয়েছিল, তার গ্রিন কার্ড ফ্ল্যাগ করা হয়েছে।’ তিনি জানান, শমিটকে অপমানজনক ও উগ্র আচরণের শিকার হতে হয়েছে। তার অভিযোগ, ছেলেকে নগ্ন করে জোরপূর্বক ঠাণ্ডা জলে স্নান করানো হয় এবং অল্প খাবার-পানীয় দেওয়া হয়। পরে শরীর খারাপ হলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে পড়েন।আস্ট্রিড বলেন, ২০২৩ সালে শমিট তার পুরনো গ্রিন কার্ড হারানোর পর আইনিভাবে নতুন কার্ড ইস্যু করিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার সময় তার নথিপত্র ফ্ল্যাগ করা হয়।
আরও পড়ুন -Meta: স্ত্রীয়ের সঙ্গে কোম্পানির তথ্য শেয়ারের অপরাধ! বোনাসের আগেই বরখাস্ত মেটা কর্মী
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষার সহকারী কমিশনার হিল্টন বেকহ্যাম বলেন, ‘যদি কোন আইন বা ভিসার শর্ত লঙ্ঘিত হয়, তবে ভ্রমণকারীরা আটক বা বহিষ্কৃত হতে পারেন। তবে ফেডারেল গোপনীয়তা নীতির কারণে আমরা নির্দিষ্ট মামলার তথ্য প্রকাশ করতে পারি না।’ এদিকে, শমিটকে অবৈধভাবে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির অধীনে এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে বলে সমালোচকরা দাবি করেছেন। বিমানবন্দরে বৈধ গ্রিন কার্ডধারী বাসিন্দাদের আটক করার ঘটনা ক্রমেই বিতর্কের সৃষ্টি করছে এবং অভিবাসন আইন প্রয়োগের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।