ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করার পর শিশুর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হল নির্যাতিতা শিশুকে। শেষমেশ ১০ ঘণ্টা বসিয়ে রাখার পর ডাক্তারি পরীক্ষা হয় পাঁচ বছরের ওই শিশুর। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে উত্তর প্রদেশের পিলিভিট জেলা মহিলা হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সেই সেই বিষয়টি সামনে আসতে নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকার। এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে অটোনোমাস স্টেট মেডিক্যাল কলেজ (এএসএমসি)-এর চিকিৎসকদের ডিউটি রোস্টার তৈরি করার নির্দেশ স্বাস্থ্য বিভাগ।
আরও পড়ুন: আমি একজন হিন্দু নারী… আমাকে বাঁচতে দেও, গণধর্ষণ থেকে বাঁচতে আর্তনাদ নির্যাতিতার
জানা গিয়েছে, এই বিষয়টি সামনে আসতেই সোমবার উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রধান সচিব পার্থ সারথি সেন শর্মা মহিলা হাসপাতালে এই ধরনের আইনি বিষয় সংক্রান্ত চিকিৎসা পদ্ধতি পরিচালনার ত্রুটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরপরেই তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমস্যাগুলি সমাধানের নির্দেশ দেন। প্রধান সচিবের নির্দেশের পর চিকিৎসা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ডিরেক্টর ডাঃ রতন পাল সিং সুমন পিলিভিটের প্রধান স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অলোক কুমারকে এবিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি গত ২৯ এপ্রিলের। অভিযোগ, হাসপাতালে মেডিক্যাল কলেজের একজন চিকিৎসক রাতের ডিউটিতে থাকা সত্ত্বেও ওই মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করতে দেরি হয়। জানা গিয়েছে, নেউরিয়া থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ২০ বছর বয়সি এক প্রতিবেশী যুবক ওই শিশুকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটি তার বাবা-মায়ের কাছে গিয়ে নির্যাতনের জানায়। ঘটনায় তার বাবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শিশুকে পিলিভিট জেলা মহিলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, ডাক্তার থাকা সত্ত্বেও তাকে ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বসিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে
উল্লেখ্য, এই হাসপাতালটি এএসএমসির অধীনে পড়ে। তবে পরের দিন এএসএমসির অধ্যক্ষ দাবি করেন, এই দায়িত্বটি মেডিক্যাল শিক্ষা শাখার নয়, এই দায়িত্ব হল মেডিক্যাল ও স্বাস্থ্য বিভাগের একজন চিকিৎসকের।পাল্টা অলোক কুমার দাবি করেন, যেকোনও এমবিবিএস ডাক্তার নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করতে পারেন। এদিকে, ঘটনার পরই রাজ্য মহিলা কমিশন হাসপাতালটি পরিদর্শন করে। তারপরেই ব্যবস্থা নিল স্বাস্থ্য বিভাগ।