ক্রমাগত এই তদন্তে একের পর এক উত্তর মিলছে নানান প্রশ্নের। এদিকে, জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের সাংসদ খুনে অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর ও ফয়জল আলি রহমান ভারতে রোগী সেজে ঢুকে পড়ে। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের খাগড়াছড়ির কাছে দুর্গম পাহাড়ের কোলে পাতালকালী মন্দির থেকে গ্রেফতার হয়েছে মোস্তাফিজুল ও ফয়জল।
আনোয়ারুল আজিম (Twitter Photo/ IANS)
বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম খুনে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। বাংলাদেশের পুলিশ সদ্য হদিশ পেয়েছে জনৈক পিন্টুর। যে পেশায় গাড়ি চালক এবং সে এই ঘটনায় খুনের দায়ে অভিযুক্তদের ক্লোরোফর্ম সরবরাহ করেছে বলে অভিযোগ। এই পিন্টু ভারতের বাসিন্দা। এই পিন্টুকে হেফাজতে পেতে বাংলাদেশের পুলিশের পক্ষ থেকে সিআইডিকে অনুরোদ করা হয়েছে।
ক্রমাগত এই তদন্তে একের পর এক উত্তর মিলছে নানান প্রশ্নের। এদিকে, জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের সাংসদ খুনে অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর ও ফয়জল আলি রহমান ভারতে রোগী সেজে ঢুকে পড়ে। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের খাগড়াছড়ির কাছে দুর্গম পাহাড়ের কোলে পাতালকালী মন্দির থেকে গ্রেফতার হয়েছে মোস্তাফিজুল ও ফয়জল। তারা সেখানে ধুতি পরে কালী সাধহ হিন্দু সেজে গা ঢাকা দিয়েছিল। তবে ছন্দবেশ ধারণ তাদের কাছে নতুন বিষয় নয়।
জানা যাচ্ছে, মোস্তাফিজ ও ফয়জলের সঙ্গে আমানুল্লাহর যোগাযোগ ৬ মাস আগে থেকে ছিল। মোস্তাফিজদের আর্থিক সংকটের কথা আমানুল্লাহ জানতে পারেন। তা জেনেই তাদের খুনের কাজের জন্য মোটা টাকার টোপ দিয়ে সুপারি কিলার হিসাবে এই ষড়যন্ত্রের অংশ করা হয়। এরপর আখতারুদ্দিন শাহিনের বাংলাদেশের বসুন্ধরার ফ্ল্যাটে দুজনকে রেখে দেওয়া হয়। তাদের পাসপোর্ট ভিসার ব্যবস্থা করে দেন শাহিনের সহকারী সিয়াম। বাইকচালক মুস্তাফিজুরকে জিএস ফুড প্রোডাক্টস নামে এক কোম্পানির মালিক হাসিবা ভিসায় দেখানো হয়। আর পেশায় ট্রাক চালক ফয়জলকে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসাবে দেখানো হয়। ফয়জলের হৃদরোগ ও মোস্তাফিজুরের কিডনির রোগের ভুয়ো সমস্যা দেখিয়ে, তাদের রোগী সাজিয়ে ভারতে পাঠানো হয়।