গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশিদের জন্য ৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে 'গোল্ড কার্ড' বিক্রির ঘোষণা করেছিলেন। ট্রাম্প সেই সময় জানান, এই কার্ড কিনলে ধনী ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ পাবেন এবং পরবর্তীতে তাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার পথও সুগম হবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার 'গোল্ড কার্ড' বিক্রির জন্য ওয়েবসাইট চালু করেছেন তিনি। (আরও পড়ুন: সেনা দিবসে আসিম মুনিরকে আমন্ত্রণ আমেরিকার, সফরের বিরোধিতা পাকিস্তানেই)
আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় নয়া মোড়, ২৫% বকেয়া মেটাবে না সরকার? নয়া পদক্ষেপ রাজ্যের
জানা গেছে, মার্কিন সরকার সমর্থিত 'ট্রাম্পকার্ড ডট কম' নামে ওয়েবসাইটটি চালু হয়েছে। এখন থেকে 'গোল্ড কার্ড' কিনতে আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন।ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প জানিয়েছেন, '৫ মিলিয়ন ডলারের 'ট্রাম্প কার্ড' আসছে! হাজার হাজার মানুষ আমাকে কল করছে এবং জানছে তারা এই কার্ডের জন্য কীভাবে আবেদন করবে।' নতুন চালু হওয়া এই ওয়েবসাইটটিতে ট্রাম্পের ছবি দেওয়া একটি সোনালী রঙের কার্ড দেখা যাচ্ছে। সেখানে আবেদনকারীদের তাদের নাম, ঠিকানা, ইমেল-সহ প্রাথমিক তথ্য দিতে হবে। (আরও পড়ুন: মাস্ক ক্ষমা চাইতেই গলে গেলেন ট্রাম্প? ফোনে নাকি কথাও হয়েছে দু'জনের)
আরও পড়ুন: ইউনুস যেন 'অচ্ছুৎ', 'চরম অপমান' হজম বাংলাদেশি প্রধান উপদেষ্টার
গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প বলেছিলেন, 'আমরা গোল্ড কার্ড বিক্রি করতে চলেছি। কার্ডের দাম রাখছি ৫ মিলিয়ন ডলার। এতে গ্রিন কার্ডের-এর মতোই সুযোগ-সুবিধা মিলবে। পাশাপাশি, মার্কিন নাগরিকত্ব পাবেন। ওই কার্ড কিনে বিত্তশালীরা আমাদের দেশে চলে আসতে পারবেন।' আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে এই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য প্রকাশের কথা জানান ট্রাম্প। সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প জানান, গোল্ড কার্ড কিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসতে পারেন রুশ নাগরিকরাও, বিশেষ করে রুশ ধনকুবেররা। (আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে 'অভূতপূর্ব অংশীদার' পাকিস্তান, দাবি US জেনারেলের)
আরও পড়ুন-'রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে বড় ধাক্কা!' নিউ ইয়র্কের মেয়রপ্রার্থী ভারতীয় বংশোদ্ভূত
এতদিন ইবি-৫ অভিবাসী বিনিয়োগকারী প্রকল্প চালু ছিল, যার মাধ্যমে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়া যেত। দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে, কর্মসংস্থানের যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করতে ১৯৯০ সালে কংগ্রেস ওই প্রকল্প চালু করে, যার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করে দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া যেত। কিন্তু ট্রাম্পের মতে, গ্রিন কার্ডের-এর মূল্য অত্যন্ত কম রাখা হয়েছিল। গোটা প্রকল্পটিকে 'জালিয়াতি' বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।মার্কিন নাগরিকত্ব অত সস্তায় বিক্রি করা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজকে ঘুঁটি বানিয়ে তৃতীয় কারও সঙ্গে পালানোর ছক ছিল সোনমের? আরও ঘনীভূত রহস্য
তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। শুধুমাত্র টাকা কী করে নাগরিকত্ব পাওয়ার মাপকাঠি হতে পারে, প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে। ভালভাবে বাঁচার স্বপ্ন নিয়ে যাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভিড় করেন, শুধু অর্থবল নেই বলে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া যায় কিনা প্রশ্ন উঠছে। অন্যদিকে, ট্রাম্পের অনুগামীরা যদিও গোল্ড কার্ডের প্রকল্পের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। মার্কিন নাগরিকত্বের ন্যায্য মূল্য ধার্য করার মধ্যে কোনও অন্যায় দেখছেন না তাঁরা।