বাংলার ‘বকেয়া’ আদায়ে দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে যাঁরা ১০০ দিনের বকেয়া টাকা পাননি তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ট্রেন না মেলায় বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের। কিন্তু দিল্লি পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় কর্মসূচি কী হবে তা নির্দিষ্ট ছিল না। কর্মসূচি ঠিক করতে রবিবার রাতে সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়িতে বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। সেই বৈঠকে সোমবারের কর্মসূচি ঠিক হয়েছে।
সোমবার রাত ন’টা নাগাদ দিল্লি পৌছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বাংলা থেকে আসা দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে তিনি চলে যান সৌগত রায়ের বাড়িতে। সেখানে আয়োজিত বৈঠকে কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর নৈশভোজের আয়োজন ছিল।
সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সাড়ে দশটা নাগাদ বৈঠক থেকে বেরিয়ে জানান, সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ রাজঘাটে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দলীয় কর্মসূচি শুরু হবে। সাংবাদিকদের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আন্দোলন ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে। প্রকল্পের নাম মনরেগা, যার সঙ্গে গান্ধীজির সম্পর্ক রয়েছে। তাই তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের কর্মসূচি শুরু হবে।’
বৈঠকে ঠিক হয়েছে তৃণমূলের কয়েকজন নেতা-নেত্রী রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন। কিন্তু গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে এদিন শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকবে। তাই পুলিশ যদি আটকে দেয় সেক্ষেত্রে বিকল্প কর্মসূচি কী হবে তাও বৈঠকে ঠিক করা হয়েছে।
(পড়তে পারেন। উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলের বাস থামাল গলায় গামছা জড়ানো পুলিশ, দেখুন ভিডিয়ো)
মঙ্গলবারের কর্মসূচি নিয়ে সে ভাবে কোনও আলোচনা হয়েনি ওই বৈঠকে। কারণ পুলিশের মতিগতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সূত্রের খবর, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। রাজঘাটের কর্মসূচির পর সেই বৈঠক হবে। দলের ১৫ জন নেতানেত্রী ওই বৈঠকে থাকবেন। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সোমবার দুপুরে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে নেতানেত্রীরা মত বিনিময় করে কর্মসূচি ঠিক করবেন। বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত হবে, তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিকাল ৪টের সময় সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেবেন।’
দলীয় সূত্রের খবর, রবিবার রাতে বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব দেন, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার যাঁরা তাঁদের নিয়ে দলের শীর্ষনেতৃত্ব সংসদ ভবনে যাবেন। সেখানে তাঁদের দেখানো হবে কী ভাবে তাঁদের প্রাপ্য টাকায় নতুন সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। একটি সংসদ ভবন থাকতেও বিপুল অর্থ ব্যয় করে আরও একটি সংসদ ভবন তৈরি করা হয়েছে। প্রকাশ্যে একে সংসদ অভিযান না বললেও কার্যত তাই হবে এই কর্মসূচি।
এমনিতে মঙ্গলবার যন্তরমন্তরে দলের ধর্না কর্মসূচি রয়েছে। দলীয় সূত্রের দাবি, দিল্লি পুলিশ অনুমতি দিয়েছে। তা সত্বেও যদি পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় তবে বিকল্প হিসাবে কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে। সেগুলি নিয়ে আলোচনা হবে সোমবার অর্থাৎ আজকের দুপুরের বৈঠকে।