বেঙ্গালুরুর একটি নির্মীয়মাণ আবাসনে হোলি উদ্যাপনে মেতেছিলেন শ্রমিকেরা। আচমকাই ছ’জনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় ছিলেন তাঁরা। সেই ঝামেলা গড়ায় মারামারিতে। তার জেরে প্রাণ হারান তিনজন। আহত হয়েছেন এক জন। তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। বাকি দু’জনের এখনও খোঁজ মেলেনি। প্রাথমিকভাবে দাবি করা হয়েছে, সহকর্মীর বোনের ফোন পান এক শ্রমিক। তা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন -Assam: সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট! অসমের কংগ্রেস মুখপাত্র গ্রেফতারিতে হুলুস্থুল
পুলিশ সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুর উপকণ্ঠে অনেকালে ওই নির্মীয়মাণ আবাসনে কাজ করতেন ছ’জন শ্রমিক। তাঁরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা। হোলির দিন ওই নির্মীয়মাণ আবাসনে উদ্যাপনে মেতেছিলেন ওই শ্রমিকেরা। বচসা থেকে এরপর শুরু হয় তুমুল মারপিট। জানা গিয়েছে, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তিন যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের ফেলে রেখে বাকিরা পালিয়ে যায়।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, লোহার রড, লাঠি নিয়ে তাঁরা মারপিট করেন। তাতে মৃত্যু হয় তিন জনের। আবাসনের ভিতরে গলি থেকে উদ্ধার হয় একজনের দেহ। দ্বিতীয় জনের দেহ মেলে ঘরের ভিতর। তৃতীয় জন পড়েছিলেন আবাসনের সামনে। রক্ত ভেসে যাচ্ছিল চারপাশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম অংশু (২২), রাধেশ্যাম (২৩)। তৃতীয় জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ফেরার দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন -Assam: সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট! অসমের কংগ্রেস মুখপাত্র গ্রেফতারিতে হুলুস্থুল
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ছ'জন যুবক আদতে বিহারের বাসিন্দা। সকলেই পেশায় শ্রমিক। বেঙ্গালুরুতে একটি নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ে কাজ করছিলেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। পলাতক বাকি দু'জনের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। বেঙ্গালুরু গ্রামীণ পুলিশ সুপার সিকে বাবা এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাগেশ কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে ডগ স্কোয়াডও ডাকা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে।