অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার মন্তব্যের পাল্টা কড়া জবাবে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএমর দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা হেমন্ত সোরেন বলেন,'এঁরাই হিন্দু-মুসলিম সংঘাত উস্কানি দেয়। তাঁরা ভাইদের মধ্যে সংঘাতে উস্কানি দেন, বাড়িতে ভাঙন ধরান।'
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বনাম অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
সদ্য ঝাড়খণ্ডকে নিয়ে এক মন্তব্য় করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে পাল্টা জবাব দেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বিজেপির তাবড় নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী অস্মিতায় ব্যাপক বাধা তৈরি করছেন। এটা চলতে থাকে ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তন দেখবে ঝাড়খণ্ড। আর সেটা মিনি বাংলাদেশে পরিবর্তন হতে চলেছে।’
এদিকে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার মন্তব্যের পাল্টা কড়া জবাবে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএমর দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা হেমন্ত সোরেন বলেন,'এঁরাই হিন্দু-মুসলিম সংঘাত উস্কানি দেয়। তাঁরা ভাইদের মধ্যে সংঘাতে উস্কানি দেন, বাড়িতে ভাঙন ধরান।' তিনি পাল্টা বিজেপি নেতৃত্বকে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্বেশ নিয়ে খোঁচা দেন। হেমন্ত বলেন,'দাঙ্গার পর বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশের জন্য কে দায়ী?' তিনি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে তুমুল ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি সাফ জানান, ‘এটা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে, বিএসএফ ও রাজ্য সরকারের হাতে।' তিনি বলেন, ‘আমাদের কারোর থেকে কোনও প্রচারের দরকার নেই।’ হেমন্তের সাফ বার্তা, ভারতবর্ষ, ভারতের মানুষের হাতে। ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন বলেন, ‘বর্তমানে তাঁদের টাকা নেই কৃষকদের সমর্থনের জন্য। তবে তাঁদের কোটিপতি বন্ধুদের ঋণ মুকুবের ক্ষমতা তাঁদের রয়েছে।’
এদিকে, ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদর প্রবেশ ঘিরে পর পর খোঁচার সুর চড়া করেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেন,'যদি কোনও অনুপ্রবেশকারী একজন আদিবাসী মহিলাকে বিয়ে করেন, ফলে সেই মহিলার ছেলেমেয়েরা আদিবাসীদের জন্য যে সুবিধা রয়েছে, সেগুলিও পান না। আমরা এমন ধরনের ঘটনায় নিশ্চিত করব যাতে,সেই মহিলা আদিবসীদের নেত্রী হিসাবে ভোটে না লড়েন।' এছাড়াও এলাকায় কংগ্রেস নেতাদের প্রভাব নিয়েও সতর্ক করেন হিমন্ত। হিমন্ত ছাড়াও নিশিকান্ত দুবেও অভিযোগ করেছেন, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিতে আদিবাসীদের প্রতি উদাসীন কংগ্রেস ও জেএমএম। উল্লেখ্য, ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটে ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে ১৩ নভেম্বর ২০২৪। ভোটের ফল ঘোষণা ২০ নভেম্বর।