মায়ানমারের কারাবন্দি সু চিকে আশ্রয় দিতে চান পোপ ফ্রান্সিস। ইতালীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সাবেক নেত্রী অং সান সু চিকে ভ্যাটিকানেই থাকার প্রস্তাব দিয়েছেন পোপ। পোপ এই মাসের শুরুতে এশিয়ার জেসুইটদের সঙ্গে বৈঠকের সময় পোপ নিজেই বলেছিলেন, 'আমি অং সান সু চিকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। রোমে তাঁর ছেলের সঙ্গে দেখা করেছি। ভ্যাটিকান যাতে সু চিকে থাকার জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় দেয়, তার জন্যও প্রস্তাব পাঠিয়েছি।'
আরও পড়ুন: (SC News: ভারতের কোনও অংশকে 'পাকিস্তান' বলা যাবে না, বিচারপতিকে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের)
দৈনিক সংবাদপত্র কোরিয়েরে ডেলা সেরা (Corriere della Sera), ইতালীয় ধর্মযাজক আন্তোনিও স্পাদারোর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে ২ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, পূর্ব তিমুর এবং সিঙ্গাপুরের ব্যক্তিগত বৈঠকের বিবরণ শেয়ার করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, পোপ নিজেই বলেছেন, 'আজকে মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা নীরব থাকতে পারি না। আমাদের কিছু করতেই হবে।'
পোপের মতে, আপনার দেশের ভবিষ্যৎ হোক শান্তিপূর্ণ, প্রত্যেকের অধিকার ও মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশে এমনই একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও থাকা উচিত, যেখানে প্রত্যেকে প্রত্যেকের পাশে দাঁড়িয়ে, সবকিছু আরও ভালো পথে নিয়ে যেতে সহায়তা করতে পারে।
আরও পড়ুন: (Yunus-Biden meeting in USA: বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বাইডেনের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস পেলেন ইউনুস)
কেন কারাবন্দি সু চি
৭৯ বছর বয়সী অং সান সু চি, বর্তমানে দুর্নীতি এবং কোভিড নিয়ম না মানার মতন নানান অভিযোগে ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। অধিকর্তাদের একাংশ দাবি করেন যে তাঁর প্রতি যে বিচারটি করা হয়েছে, তা অন্যায্য। মূলত তাঁকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্যই সু চিকে একপ্রকার ফাঁসানো হয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে সু চিকে জেল থেকে বের করে আনার জন্য পোপের প্রস্তাবে খুশি তাঁর ছেলে কিম অ্যারিসও। তিনি এএফপিকে বলেছেন যে তাঁর মা হয়ত এই প্রস্তাবের প্রশংসা করবেন।
কিমের দাবি, 'আমি নিশ্চিত যে তাঁকে ভ্যাটিকানে একটি নিরাপদ স্থান দেওয়ার জন্য, মেমে পোপ ফ্রান্সিসকে ধন্যবাদ জানাবেন।' তবে, পোপের এই প্রস্তাব জান্তা আদৌ আমলে নেবে কিনা, তা নিয়ে কিম নিশ্চিত নন। কারণ তারা এখনও বার্মিজ জনগণের মধ্যে, এমনকি বিদেশেও সু চির জনপ্রিয়তা নিয়ে ভয় পায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে সু চির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি ২৫ বছরের মধ্যে মায়ানমারের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়লাভ করে। সামরিক বাহিনী তাঁকে ২০২১ সালে গ্রেফতার করেছিল।