ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ এবং ১৯ সালে। ওই সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার সাত বছরের মেয়েটিকে ধর্ষণ করে তার মায়ের লিভ ইন পার্টনার শিশুপালন। জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামী মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে সে থাকতে শুরু করেছিল। তার সঙ্গে ৭ বছরের মেয়েটিও ছিল।
মেয়েকে ধর্ষণ করানোর অপরাধে মায়ের ৪০ বছরের কারাদণ্ড। প্রতীকী ছবি
মায়েরা সমস্ত বিপদ থেকে সন্তানকে রক্ষা করে থাকে। অথচ সেই মা নিজের ৭ বছরের মেয়েকে লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করতে বাধ্য করেছিল। সেই জঘন্যতম ঘটনায় মেয়েকে ধর্ষণ করানোর অপরাধে মাকে সর্বোচ্চ সাজা দিল আদালত। মেয়েকে ধর্ষণ করতে সাহায্য করার জন্য ওই মহিলাকে ৪০ বছর ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকার জরিমানা করেছে। ঘটনাটি কেরলের তিরুবনন্তপুরমের। এমন জঘন্যতম ঘটনার জন্য তিরুবনন্তপুরম স্পেশাল ফাস্ট ট্র্যাক আদালত অভিযুক্তকে ‘মাতৃত্বের অপমান’ বলে গণ্য করেছে এবং জানিয়েছে, যে সে কোনওরকমের ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য নয়। সে সর্বোচ্চ সাজা পাওয়ার যোগ্য।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮- ১৯ সালে। ওই সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার সাত বছরের মেয়েটিকে ধর্ষণ করে তার মায়ের লিভ ইন পার্টনার। জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামী মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে সে থাকতে শুরু করেছিল। তার সঙ্গে ৭ বছরের মেয়েটিও ছিল। সেই সময় মেয়েকে শিশুপালনের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করতে বাধ্য করে ওই মহিলা। এভাবেই একদিন নির্যাতিতা মেয়েটি তার ১১ বছরের বোন বাড়িতে এলে তাকে যৌন নির্যাতনের কথা জানায়। ১১ বছরের মেয়েটিও শিশুপালনের হাতে নির্যাতিত হয়েছিল। কিন্তু, সেই কথা কাউকে না জানানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল তাদের। তখন দুই বোন নাবালিকার বাড়িতে পালিয়ে যায়। এরপর তাদের ঠাকুমা বিষয়টি জানতে পেরে থানায় অভিযোগ জানান। বিষয়টি জানাজানি হতেই অবশ্য শিশুপালন আত্মহত্যা করে। তবে শিশুর মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।