মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের ভারত সফরের সময়ই কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে পর্যটকদের উদ্দেশে নির্বিচারে চলেছে জঙ্গিদের গুলি। ঘটনা মনে করাচ্ছে ২৫ বছর আগের কথা। সেই সময় ভারতের সফরে ছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন। সেই সময় ছত্তিশপুরায় চলেছিল আরও এক নারকীয় গণহত্যা। প্রশ্ন উঠছে এই জঙ্গি হামলার আগে পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনিরের এক বক্তব্য ঘিরে। প্রশ্ন উঠছে, সেই বক্তব্যই কি উস্কানি দিয়েছে এই হামলায়?
এপ্রিলেই এক সভায় পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনির কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জুমুলার ভেইন’ বা ‘গলার শিরা’ বলে উল্লেখ করে একটি মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠান মঞ্চ ছিল, ‘ওভারসিস পাকিস্তানি কনভেনশন’ এর। সেখানে মুনিরের বলা বক্তব্যকে সদ্য তুলোধনা করে পাল্টা বার্তাও দিয়েছিল দিল্লি। ঠিক কী বলেছিলেন মুনির? পাকিস্তানি সেনা প্রধানের কণ্ঠে কাশ্মীর নিয়ে কোন বার্তা ছিল? অনুষ্ঠান মঞ্চে মুনির বলেন, কাশ্মীর 'আমাদের গলার শিরা ছিল। আমরা তা ভুলব না। ভারতের দখলের বিরুদ্ধে কাশ্মীরি ভাইদের ঐতিহাসিক লড়াইকে ছেড়ে দেব না।'বহু রিপোর্টের দাবি, সেদিনের সভায় কাশ্মীর নিয়ে মুনিরের বক্তব্য টিআরএফ জঙ্গিদের উস্কানির জন্য যথেষ্ট ছিল।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের অন্দরে যখন বালোচ বিদ্রোহীদের রোখা পাকিস্তানের সেনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তানকে রুখতে গিয়ে পাকিস্তানের অন্দরেই তুমুল সমালোচনার শিকার হচ্ছে শেহবাজ সরকার, তখনই পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের তরফে ওই বার্তা এসেছিল। প্রসঙ্গত, খুব সুক্ষ্মভাবে দেখলে, সদ্য পাকিস্তানে বালুচ বিদ্রোহীরা একটি আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করে নেয়। সেই অপহরণ পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খায় পাক সেনা। এই পরিস্থিতিতে ঘরোয়া চাপের মুখেই আসিমের এই বার্তা আসে।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরের বুকে সদ্য কয়েক বছরে সেভাবে জঙ্গি হানা দেখা যায়নি। এর আগে, কাশ্মীরে পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে হামলার পর পকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গি শিবিরে আকাশপথে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারত। তার আগে, উরি হামলার পর, স্থলপথে পাকিস্তানে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। এদিকে, কাশ্মীরের বুকে ক্রমাগত নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে। খুব শিঘ্রই কাশ্মীরে চেনাব ব্রিজ দিয়ে প্রথম বন্দে ভারত ছোটার কথা রয়েছে। কাশ্মীর পেতে চলেছে তার প্রথম বন্দে ভারত ট্রেন। এমনই নানান উন্নয়ন ভূস্বর্গকে ঘিরে রেখেছে। এর আগে, ২০২৩ সালে জি২০ টুরিজম মিটও শ্রীনগরের বুকে আয়োজন করে দিল্লি।