দীর্ঘদিনের লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা একজন নারী নিজের সঙ্গীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করতে পারেন না বলে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের রায়ে জোর দেওয়া হয়েছে যে, দীর্ঘদিনের লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রতারণার মাধ্যমে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের দাবি দুর্বল হয়ে পড়ে। বলা হয়েছে, দীর্ঘদিনের লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা একজন নারী যদি বিয়ের প্রতিশ্রুতির ভুয়ো আশ্বাসে তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার অভিযোগ তোলেন, তাহলে তা প্রমাণিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। (আরও পড়ুন: লন্ডনে জয়শঙ্করের ওপর খলিস্তানির হামলা, ছেঁড়া হল ভারতের পতাকা, দেখুন ভিডিয়ো)
আরও পড়ুন: বাজেয়াপ্ত টাকার পাহাড়, ১২ কোটির সোনা পাচার করে অভিনেত্রীর পকেটে ঢুকত কত?
শীর্ষ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে একসাথে থাকা দম্পতির ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্কের কারণ কেবলমাত্র বিয়ের প্রতিশ্রুতি ছিল কিনা তা নির্ধারণ করা কঠিন। উল্লেখিত মামলায়, এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে ১৬ বছর ধরে সহবাস করছিলেন এক লেকচারার। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে সেই লেকচারার বিয়ের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন। বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং সন্দীপ মেহতা সমন্বিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আপরাধমূলত মামলা বাতিল করে দিয়ে বলেছে যে, উভয় পক্ষই শিক্ষিত এবং তাদের সম্পর্ক ছিল সম্মতিক্রমে। (আরও পড়ুন: বছর ১৪-র কিশোরীকে গণধর্ষণ,অ্যাসিড দিয়ে 'ওম ট্যাটু' করিয়ে মাংস খাওয়াল সলমন-রশিদরা)
আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত ভারতীয় পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার মার্কিন মুলুকে, ঘনাচ্ছে রহস্য
আরও পড়ুন: আকাশ থেকে কৃষকের বাড়ির চাল ফুঁড়ে পড়ল অস্বাভাবিক ঘন বস্তু, রহস্যভেদে শুরু গবেষণা
উভয় পার্টনার বিভিন্ন শহরে কর্মরত থাকাকালীনও একে অপরের সাথে দেখা করত বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে এই সম্পর্ককে 'লিভ-ইন' সম্পর্ক বলে আখ্যা দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কোর্ট বলে, 'প্রায় ১৬ বছর ধরে অভিযোগকারী ভুয়ো প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে যৌন শোষণের কোনও প্রতিবাদ করেননি। এখন তাঁর অভিযোগ বিশ্বাস করা কঠিন।' আদালত আরও বলেছে যে, দীর্ঘ সময় ধরে চলা সম্পর্কে উভয় পক্ষের মধ্যে কোনও প্রতারণা ছিল না। '১৬ বছর ধরে অবিচ্ছিন্নভাবে যৌন সম্পর্ক বজায় থাকায় এটা স্পষ্ট যে সম্পর্কে কখনও বল প্রয়োগ করা হয়নি। বা প্রতারণাও করা হয়নি।' সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে যে, যদিও বিয়ের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলে ধরা হয়, তবুও এত দীর্ঘ সময় সম্পর্কে থাকা নারীর দাবি দুর্বল হয়ে পড়ে। এই ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্ক কেবলমাত্র বিয়ের প্রতিশ্রুতির উপর নির্ভর করে এতবছর ধরে চলেছে, এই অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে না।