শুক্রবার সংসদে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, তখন ভারত সীমান্ত অঞ্চলে বিরোধের যথাযথ মীমাংসা এবং তাদের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে না দেওয়ার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছিল।
লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে জয়শঙ্কর বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল ও পুনর্গঠনের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য আধিকারিকদের স্তরে আলোচনার পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে বলেও উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।
২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) লাদাখ সেক্টরে শুরু হওয়া সামরিক অচলাবস্থার কারণে ভারত-চিন সম্পর্ক সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছিল। ২১ অক্টোবর ডেমচোক ও দেপসাংয়ের বাকি দুটি 'সংঘাত পয়েন্টে' টহলদারি ব্যবস্থার বিষয়ে উভয় পক্ষ একমত হয় এবং এর দু'দিন পরে রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাষ্ট্রপতি জি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠক হয়।
কাজানে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে জয়শঙ্কর বলেন, ২০২০ সালে ভারত-চিন সীমান্ত অঞ্চলে উদ্ভূত প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলির সম্পূর্ণ ডিসএনগেজমেন্ট এবং সমাধানের চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন মোদি।
জয়শঙ্কর আরও বলেন, 'তিনি মতপার্থক্য ও বিরোধগুলি যথাযথভাবে পরিচালনা করার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং তাদের সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে না দেন।