মহা কুম্ভের উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি খোলা চিঠি লিখলেন পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুক। সেই চিঠিতে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ১৪৪ বছর পরে যখন পরবর্তী মহা কুম্ভ অনুষ্ঠিত হবে, তখন সেটি নদীর পরিবর্তে বালিতে অনুষ্ঠিত হতে পারে। তাঁর দাবি, ‘ততদিনে নদীগুলি শুকিয়ে যেতে পারে।’ (আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় রুপোর দাম কমল ৮০০ টাকা, আজ কলকাতায় সোনা বিকোচ্ছে কততে?)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে জয়শংকরকে জবাব ঢাকার, তৌহিদ বললেন...
তাঁর চিঠিতে সোনম ওয়াংচুক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। তিনি দাবি করেন, ভারতের অনেক নদীর উৎস হিমালয়ে। আর সেখানে হিমবাহগুলি ‘দ্রুত গলে যাচ্ছে’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি খোলা চিঠি লিখে সোনম ওয়াংচুক দাবি করেন, হিমালয়ের হিমবাহের অবস্থা মূল্যায়ন করার জন্য একটি কমিশন গঠন করা উচিত। ওয়াংচুক আরও দাবি করেছেন যে ভারতকে হিমবাহ সংরক্ষণে ‘নেতৃত্ব নেওয়া উচিত’। (আরও পড়ুন: কলকাতায় শুরু হবে রান্নার গ্যাসের পাইপ বসানোর কাজ, কোথায় বসবে প্রথম লাইন?)
আরও পড়ুন: ফ্রেশার ছাঁটাই বিতর্কের মাঝে কর্মীদের বেতন বাড়াল ইনফোসিস, কত হল 'হাইক'?
চিঠিতে সোনম লেখেন, ‘ভারতকে হিমবাহ সংরক্ষণে নেতৃত্ব দিতে হবে। কারণ আমাদের হিমালয় আছে। গঙ্গা এবং যমুনার মতো পবিত্র নদীগুলি সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে। লাদাখ-ভিত্তিক পরিবেশবিদ দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন পরিবেশগত উদ্যোগের ‘অনুরাগী’ তিনি। তিনি চিঠিতে লেখেন, ‘যেমনটি আমরা সকলেই জানি, হিমালয়ের হিমবাহ খুব দ্রুত গলে যাচ্ছে। এই হারেই যদি হিমাবহ গলতে থাকে এবং বন উজাড় হতে থাকে, তাহলে কয়েক দশকের মধ্যে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং সিন্ধুর মতো আমাদের পবিত্র নদীগুলি মৌসুমী নদীতে পরিণত হতে পারে। এর অর্থ এও হতে পারে যে পরবর্তী মহা কুম্ভ শুধুমাত্র পবিত্র নদীর বদলে বালিতেই অনুষ্ঠিত হতে পারে।’ ওয়াংচুক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে, এই বিষয়ে মানুষের মধ্যে ‘খুব কম সচেতনতা’ রয়েছে। (আরও পড়ুন: কুম্ভের শেষ শাহিস্নানে উপচে পড়ল ভিড়! অফিসে বসে নজরদারি যোগীর,মোতায়েন কত পুলিশ?)