দিল্লি পুলিশের এই পদক্ষেপের পরেই ওয়াংচুক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা নয়াদিল্লির লাদাখ ভবনের বাইরে শান্তিপূর্ণ অনশন শুরু করতে যাচ্ছিলাম। তাতে অংশ নেওয়ার জন্য প্রচুর লোক এখানে জড়ো হয়েছিলেন। আমরা বলেছিলাম যে আমরা কোনও স্লোগান তুলব না শুধুমাত্র একটি নীরব অনশন করব।’
Ad
‘গণতন্ত্রের পক্ষে দুঃখজনক’ দিল্লিতে অনশনের সময় আটক নিয়ে মন্তব্য ওয়াংচুকের
বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে দিল্লিতে অনশনে বসেছিলেন জলবায়ু আন্দোলন কর্মী তথা বাস্তবের ‘র্যাঞ্চো’ সোনম ওয়াংচুক। তবে রবিবার অনশনস্থল থেকেই দিল্লি পুলিশ একটি দল সোনম সহ ২৫ জনকে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশ তাদের আটক করে। নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির মন্দির মার্গ থানায়। এনিয়ে দিল্লি পুলিশের তীব্র সমালোচনা করলেন সোনম। এই ঘটনাকে গণতন্ত্রের পক্ষে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াংচুক। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রে নাগরিকরা তাদের নিজেদের ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারে না। এর থেকে দুঃখজনক আর কিছু হয় না।
দিল্লি পুলিশের এই পদক্ষেপের পরেই ওয়াংচুক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা নয়াদিল্লির লাদাখ ভবনের বাইরে শান্তিপূর্ণ অনশন শুরু করতে যাচ্ছিলাম। তাতে অংশ নেওয়ার জন্য প্রচুর লোক এখানে জড়ো হয়েছিলেন। আমরা বলেছিলাম যে আমরা কোনও স্লোগান তুলব না শুধুমাত্র একটি নীরব অনশন করব। তবুও পুলিশ আন্দোলনকারীদের জোর করে সরিয়ে দেয়। তাদের পুলিশ ভ্যানে রাখা হয় এবং আটক করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল যে ঘটনাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি ছিল। সেই কারণে এমন পদক্ষেপ। এটি কেবল আমাদের জন্য নয়, গণতন্ত্রের জন্যও দুঃখজনক। আমরা আজ ভারতের জন্য দুঃখিত বোধ করছি।’
উল্লেখ্য, লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়াসহ একাধিক দাবিতে গত রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছিলেন সোনম ওয়াংচুক। প্রথমে দিল্লির যন্ত্ররমন্ত্ররের সামনে প্রতিবাদে বসতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, তাতে অনুমতি না পাওয়ায় লাদাখ ভবনের সামনে অনশনে বসে পড়েন। তাতে যোগ দেন তাঁর সমর্থকরা। তবে দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানান, সেখানে অনশনে বসার কোনও অনুমতি ছিল না। সেই কারণেই তাদের আটক করা হয়।