বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতের উপরে শুল্ক চাপানোর ঘোষণাকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে দাবি করলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। তাঁর মতে, আলোচনা চলাকালীন ভারত সীমিত কিছু নমনীয়তা দেখাতে পারে।বুধবারই ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।আর তারপর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
আরও পড়ুন-হাড়হিম কাণ্ড! প্রথম মানব কঙ্কালের হদিশ, ধর্মস্থলে গণকবর মামলায় নয়া মোড়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা সম্পর্কে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেন, 'এটি একটি চ্যালেঞ্জিং আলোচনা। আমরা অনেক দেশের সঙ্গে আলোচনা করছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র আলোচনাকারী নয়। ইইউর সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে, আমরা ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছি এবং আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গেও কথা বলছি। যদি আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতা করতে না পারি, তাহলে আমাদের সে দেশের বাইরের বাজারকে উন্মুক্ত করতে হতে পারে।' তিনি আরও বলেন, 'আমাদের বিকল্প নেই। এটাই ভারতের শক্তি; আমরা চিনের মতো সম্পূর্ণরূপে রপ্তানি-নির্ভর অর্থনীতি নই। আমাদের একটি ভালো এবং শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে। সম্ভাব্য সর্বোত্তম চুক্তি খুঁজে পেতে আমাদের আলোচকদের দৃঢ় সমর্থন দিতে হবে। যদি একটি ভালো চুক্তি সম্ভব না হয়, তাহলে আমাদের সরে যেতে হতে পারে।'
আরও পড়ুন-হাড়হিম কাণ্ড! প্রথম মানব কঙ্কালের হদিশ, ধর্মস্থলে গণকবর মামলায় নয়া মোড়
অন্যদিকে এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বলেন, 'ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে ভারতীয় রপ্তানিতে এখন ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। আমার দেশের সরকারকে হোয়াইট হাউসের একজন ভণ্ড দ্বারা হেনস্থা শিকার হতে দেখে কষ্ট হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, 'এই শুল্ক রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য একটি অস্পষ্ট 'জরিমানা'-সহ আসবে। ভারত একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। সম্রাটের দরবারে সালামি প্রদানকারী কোনও সামন্ত রাষ্ট্র নয়।' এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। দলের নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ‘হাউডি মোদী বা নমস্তে ট্রাম্প করে কী লাভ হল? আমাদের দেশের অর্থনীতির উপর আঘাত নেমে এল।’ পাকিস্তান-চিনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের তৃতীয় শত্রু হিসাবেও অভিহিত করেছেন জয়রাম। তবে মোদীকে তোপ দাগলেও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেস নেতা।তিনি বলেন, 'এই ঘোষণা আমাদের দেশ, আমাদের অর্থনীতি এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জন্য বড় ধাক্কা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ব্ল্যাকমেল করছে। আমরা ভাবতাম, পাকিস্তান এবং চিন আমাদের চ্যালেঞ্জ। কিন্তু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের তৃতীয় বৃহত্তম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না যে আমরা কোথা থেকে তেল কিনব। প্রধানমন্ত্রীর ভয় পাওয়া উচিত নয়।'