ভারতীয় যুবকের প্রেমে পড়ে তাকে বিয়ে করতে সেই পাকিস্তান থেকে অবৈধভাবে ভারতে চলে এসেছিলেন তিন সন্তানের মা সীমা হায়দার। তাঁকে নিয়ে নানান জনে নানা কথা বলছেন। তবে সীমার ভাগ্যের চাকা কিন্তু ঘুরতে শুরু করেছে। এবার তিনি সিনেমায় অভিনয়ের অফার পেয়েছেন বলে খবর। এ টেলর মার্ডার( A Tailor Murder story) স্টোরি নামে একটি সিনেমায় তিনি অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন বলে খবর।
আসলে সেই উদয়পুরে কানাইয়াল নামে এক দর্জির মাথা কেটে খুন করেছিল ইসলামিক কট্টরপন্থীরা। সেই ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে সিনেমা। আর সেখানেই অডিশন দিয়েছেন সীমা। জানি ফায়ারফক্স প্রোডাকশন হাউস নামে একটি সিনেমা প্রযোজনা সংস্থার কর্তারা গ্রেটার নয়ডাতে সীমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সীমাকে ওই সিনেমায় র অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
কিন্তু সীমা কি এই অভিনয় করতে চান? সূত্রের খবর তিনি এনিয়ে কিছুটা দ্বিধায় রয়েছেন। কারণ উত্তরপ্রদেশ এটিএস ইতিমধ্য়েই তাকে জেরা করেছে। তিনি অন্য কোনও মতলবে এদেশে এসেছেন কি না সেটা দেখা হচ্ছে। সেকারণে এটিএস ছাড়পত্র না দিলে তিনি এখনই ওই সিনেমায় অভিনয় করতে চান না।
তবে বলাই যায় সীমার ভাগ্য়ের চাকা কিন্তু ঘুরতে শুরু করেছে। একদিকে ভারত থেকে পাকিস্তানে বিয়ে করতে গিয়ে অঞ্জুকে উপহারে ভরিয়ে দিচ্ছে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তান থেকে ভারতে অবৈধভাবে আসার পরে সীমার জীবনটা অবশ্য এত সহজ ছিল না। পুলিশ দফায় দফায় তাকে জেরা করে। তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট হিসাবে ভারতে এসেছেন কি না সেব্যাপারেও খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিশ। তবে সীমার দাবি তিনি সচিন মীনাকে ভালোবাসেন। আর সেই ভালোবাসার টানেই তিনি ভারতে এসেছেন। এর পেছন তার অন্য কোনও মতলব নেই। বরং তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলেও জানিয়েছেন। তবে এবার সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ। সেক্ষেত্রে বলাই যায় সুদিন আসছে সীমার জীবনে।
প্রসঙ্গত নুপুর শর্মা নামে তৎকালীন এক বিজেপি নেত্রীর পোস্ট শেয়ার করার জন্য কানাইয়ালালকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনার পটভূমিকায় তৈরি হবে সিনেমা। আর সিনেমাতে RAW অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন সীমা।