বাংলাদেশি সেনা প্রধানের সঙ্গে ছাত্রনেতাদের বৈঠক নিয়ে নয়া দাবি হাসনাতের 'বেস্ট ফ্রেন্ড' সারজিস আলমের। সদ্য গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক দাবি করেন, বৈঠকের কথাগুলো যেভাবে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে হাসনাত প্রকাশ কেছেন, তা ঠিক হয়নি। এদিকে আওয়ামি লিগকে ফেরানো নিয়ে সেনার বিরুদ্ধে হাসনাত যে সব অভিযোগ করেছেন, তা নিয়েও দ্বিমত পোষণ করেছেন সারজিস। এই আবহে হাসনাত নিজের দলেই 'একা' হয়ে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: হিমাচলের সরকারি বাসে 'হামলা' অমৃতসরে, লেখা হল খলিস্তানি স্লোগান)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হাসিনা বিরোধী ঢেউয়ের বিষয়ে আগে থেকে অবগত ছিল ভারত, বললেন জয়শংকর
এর দীর্ঘ পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, 'সেদিন আমি এবং হাসনাত সেনাপ্রধানের সাথে গিয়ে কথা বলি। আমাদের সাথে আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ আরেকজন সদস্যেরও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাওয়ার আগের মুহূর্তে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি যেতে পারেননি। প্রথমেই স্পষ্ট করে জানিয়ে রাখি সেদিন সেনানিবাসে আমাদের ডেকে নেওয়া হয়নি বরং সেনাপ্রধানের মিলিটারি পরামর্শদাতার সাথে যখন প্রয়োজন হতো তখন মেসেজের মাধ্যমে আমাদের কিছু জিজ্ঞাসা ও উত্তর আদান-প্রদান হত। যেদিন সেনাপ্রধান পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবসে অনেকটা কড়া ভাষায় বক্তব্য দিলেন এবং বললেন 'এনাফ ইজ এনাফ', তখন আমি সেনাপ্রধানের মিলিটারি অ্যাডভাইসরকে জিজ্ঞাসা করি আপনাদের দৃষ্টিতে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু দেখছেন কিনা? সেনাপ্রধানের বক্তব্য তুলনামূলক কাট-কাট এবং কঠোর মনে হচ্ছে। তখন তিনি আমাকে বললেন তোমরা কি এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে চাও? আমি বললাম- বলা যেতে পারে। এরপরে সেদিন সেনাপ্রধানের সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হয় । সেনাভবনে সেই রুমে আমরা তিনজনই ছিলাম। সেনাপ্রধান, হাসনাত এবং আমি।' (আরও পড়ুন: আওয়ামি লিগকে ফেরাতে গোপন বৈঠক ক্যান্টনমেন্টে? বিতর্কে মুখ খুলল বাংলাদেশি সেনা)
আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত, পরপর গুলি আরাকান আর্মির, গুলিবিদ্ধ ২
এরপর সারজিস আরও লেখেন, 'মানুষ হিসেবে যেকোনও ব্যক্তি বা ব্যক্তির অভিমতকে একেকজন একেকভাবে অবজার্ভ করে। হাসনাত সেদিন তাঁর জায়গা থেকে যেভাবে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে অবজার্ভ ও রিসিভ করেছে এবং ফেসবুকে লিখেছে আমার সেক্ষেত্রে কিছুটা দ্বিমত আছে। আমার জায়গা থেকে আমি সেদিনের বক্তব্যকে সরাসরি 'প্রস্তাব' দেয়ার আঙ্গিকে দেখিনা বরং 'সরাসরি অভিমত প্রকাশের' মতো করে দেখি। 'অভিমত প্রকাশ' এবং 'প্রস্তাব দেওয়া' দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যদিও পূর্বের তুলনায় সেদিন সেনাপ্রধান অনেকটা স্ট্রেট-ফরোয়ার্ড ভাষায় কথা বলছিলেন। পাশাপাশি 'রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের জন্য 'চাপ দেওয়ার' যে বিষয়টি এসেছে সেখানে 'চাপ দেওয়া হয়েছে' এমনটি আমার মনে হয়নি। বরং রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ না আসলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সমস্যার সৃষ্টি হবে সেটা তিনি অতি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলছিলেন।'