শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে বিগত কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত আক্রমণের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশি হিন্দু সহ সংখ্যালঘুরা। এই আবহে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন আরএসএস নেতারা। এরই সঙ্গে রাষ্ট্রসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মহলকেও বাংলাদেশি হিন্দুদের জন্যে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যে আবেদন জানান আরএসএস নেতারা। বেঙ্গালুরুতে আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার তিনদিনের বার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশ ইস্যু উত্থাপন করেন শীর্ষস্থানীয় নেতারা। (আরও পড়ুন: কাঁটার সিংহাসনে ইউনুস! নাহিদের দলের নেতা বললেন, ‘যুদ্ধ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে…’)
আরও পড়ুন: জাল আধার-প্যান বানিয়ে দিল্লিতে ধৃত পশ্চিমবঙ্গের ৩ সহ ৮ চক্রী,জালে বহু বাংলাদেশি
এই নিয়ে আরএসএসের প্রচারক অরুণ কুমার বলেন, 'বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর এই পরিকল্পিত হিংসা, অন্যায় এবং নিপীড়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা।' অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় বাংলাদেশ ইস্যুতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এই হিংসা রোধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। এর জেরে ভারতের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। এই আবহে বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সবরকম পদক্ষেপের জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়। (আরও পড়ুন: 'ইউনুস বনাম ওয়াকার'-এর মধ্যে বাংলাদেশি সেনাপ্রধানকে সরানো নিয়ে মুখ খুললেন সারজিস)
আরও পড়ুন: 'নগ্ন... নোংরা...', বাংলাদেশ সেনাকে নিয়ে বোমা ফাটালেন 'বিপ্লবী' NCP নেতা
ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে ইসলামি সন্ত্রাস এবং বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের জন্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন আমেরিকার তুলসি গ্যাবার্ড। এর জেরে ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের। বিগত দিনে বাংলাদেশে ক্রমেই বেড়েছে মৌলবাদ। হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চলেছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল 'আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র'। তবে কয়েক মাস যাওয়ার পরও সেই দেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার থামেনি। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয় সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু এবং বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু অত্যাচারে সেখানে অভিযুক্ত খোদ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল হয় পরিস্থিতি। এদিকে সেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা পথে নেমেছিল। 'জুলাই বিল্পবের' ছাত্র নেতারাও ইসকনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সারজিস আলম চট্টগ্রামে ইসকন এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছেন সম্প্রতি। এই আবহে ভারতের রাস্তাতেও লোক নেমেছিল। বাংলাদেশি মৌলবাদে বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে এখানে। ভারত সরকারও একাধিক বিবৃতি প্রকাশ করে ওপারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সাম্প্রতিক সময়ে।