খাদ্যরসিকদের কাছে গরমকাল আর আম প্রায় সমার্থক। সেই আমেরও নানা জাত রয়েছে। হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি, গোলাপখাস -এগুলো তো সবাই শুনেছেন। কিন্তু 'মিয়াজাকি' (Miyazaki) আমের নাম শুনেছেন? বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ আম বলা হয় এই মিয়াজাকি আমকে। আর এর দাম শুনলেও আঁতকে উঠবেন সকলে।কত দাম এই আমের?আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি মিয়াজাকি আমের দাম প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। জাপানে একটি মিয়াজাকি আমের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১৫ হাজার টাকারও বেশি হতে পারে।কেমন খেতে?অসাধারণ সুগন্ধ ও চিনির চেয়েও মিষ্টি এই মিয়াজাকি আম। সেই সঙ্গে আঁশ বা ফাইবার একেবারে নেই বললেই চলে। মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে।তাই বলে এত দাম?মিয়াজাকি আমের দামের পেছনে স্বাদ একটি কারণ। তবে আরেকটি কারণ হল এর চাষের কঠিন পদ্ধতি।চাষের পদ্ধতিনির্দিষ্ট তাপমাত্রা, পরিমিত জল, সঠিক অনুপাতে সার-সহ একাধিক জিনিসের সমন্বয়ে মিয়াজাকি আম চাষ করতে হয়। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হয় প্রতি ধাপে।জাপানের মিয়াজাকি নামক স্থানেই এর চাষ শুরু হয়। ১৯৭০ দশকের শেষেই প্রচলিত হয় এই জাতের আম। তবে এখন ধীরে ধীরে ভারতেও কেউ কেউ এই আম ফলানোর চেষ্টা করছেন।এত দামি আমবাগানে চোর পড়লেই...দস্যি ছেলেপুলে ঢুকে এমন আম চুরি করলেই তো বিপত্তি। একটু-আধটু তো নয়, লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যাপার।তাই সাধারণত উঁচু পাঁচিল ঘেরা, গ্রিনহাউজের মতো বাগানে এর চাষ করা হয়। নিরাপত্তাকর্মী রাখেন কেউ কেউ।আমের বোঁটার সঙ্গে গাছের মূল ডাল একটি সরু, শক্ত নাইলনের দড়ি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। এর ফলে আম সহজে খসে পড়বে না।এছাড়া প্রতিটি আম প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ে দেওয়া হয়। যাতে গায়ে একটুও দাগ না লাগে।তাছাড়া পাখি, হনুমানে যাতে আম না ঠোকরায়, তার জন্য সর্বক্ষণ রাখতে হয় কড়া নজরদারি। রোজ বার বার প্রতিটি আম গুনে দেখা হয়।চাষের পদ্ধতি শুনেই নিশ্চই দামের কারণ কিছুটা আন্দাজ করতে পারছেন। অসাধারণ স্বাদের বিষয়টি তো আছেই। আফগানিস্তানের নূরজাহানের পরেই নাকি এর স্বাদ, মত অনেকের। বিশ্বের সেরা আম মিয়াজাকি। কোনওদিন সুযোগ পেলে এই আম চেখে দেখবেন নাকি? জানান কমেন্টে।