পহেলগাঁওতে ২৬ জনের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিন জঙ্গির নাম ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে। জঙ্গিদের স্কেচও প্রকাশ করেছে প্রশাসন। দ্রুত গতিতে চলছে নারকীয় হত্যালীলায় থাকা জঙ্গিদের খোঁজ। যে ৩ জঙ্গির নাম এই পহেলগাঁও কাণ্ডে সামনে এসেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে হাশিম মুসা। ‘এনডিটিভি’র রিপোর্ট বলছে, এই হাশিম মুসাকে জীবন্ত পাকড়াও করাই এখন এজেন্সির লক্ষ্য। ওই নিউজ রিপোর্টে সূত্র উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছে, সম্ভবত কাশ্মীরের জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে জঙ্গি হাশিম মুসা।
রিপোর্ট বলছে, সম্ভবত দক্ষিণ কাশ্মীরের জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে হাশিম মুসা। তাকে জীবন্ত পাকড়াও করতে পারলে, পহেলগাঁও কাণ্ডের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ তুলে ধরতে পারা যাবে বিশ্ব দরবারে। সেক্ষেত্রে ইসলামাবাদের মুখ পুড়তেও সময় লাগবে না! মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, এই হাশিম মুসা এককালে পাকিস্তানের সেনায় প্যারা কমান্ডার হিসাবে কাজ করেছে। পরে তার সঙ্গে লস্করের এক যোগসূত্র তৈরি হয়। জানা যাচ্ছে, ২০২৩ সালে ভারতে পা রাখে হাশিম মুসা। গা ঢাকা দিয়ে থাকা মুসাকে ধরতে এই মুহূর্তে ভূস্বর্গে ‘অল আউট অ্যাকশন’এ নেমেছে নিরাপত্তা বাহিনী। রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, যদি গা ঢাকা দিয়ে থাকেও, তাহলেও মুসা আপাতত পাকিস্তানের ঢোকার চেষ্টায় ব্যস্ত। ইতিমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ জানিয়েছে, মুসা সম্পর্কে তথ্য দিলে মিলবে ২০ লাখ টাকা, সঙ্গে তথ্য প্রদানকারীর পরিচয়ও থাকবে গোপন। সব দিক থেকে এই মুহূর্তে মুসাকে জীবন্ত পাকড়াও করার জোরদার অভিযান চলছে উপত্যকায়।
( অক্ষয় তৃতীয়ায় জোড়া রাজযোগ! গজকেশরী, মালব্য যোগে সাফল্যের জোয়ার আসছে, লাকি মীন সর কারা?)
( মেছুয়া বাজারের হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত বেড়ে ১৪! আহত একাধিক, তদন্ত শুরু)
কাশ্মীরের বুকে একের পর এক নাশকতার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই মুসার নাম। কাশ্মীরে মোট ৬ টি জঙ্গি হামলায় নাম রয়েছে মুসার। মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, এর আগে পাকিস্তানি সেনার স্পেশ্যাল সার্ভিস গ্রুপে কাজ করেছে মুসা। গত বছর গান্দেরবালে এক জঙ্গি হামলায় মুসার নাম উঠে আসে। এছাড়াও বারামুলাতেও জঙ্গি হামলায় মুসার নাম উঠতে থাকে। মুসা ছাড়াও আদিল ঠোকর, আসিফ শেখের নাম উঠে এসেছে পহেলগাঁও-র হত্যকাণ্ডে। এই দুই জঙ্গির মাথাতেও ঝুলছে ২০ লাখের পুরস্কার।