যেভাবেই হোক ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করতে হবে। আর সেই কাজ আঞ্চলিক দলগুলি করে চলেছে। কারণ একদিকে সংসদের দুই কক্ষে সুর চড়ানো অপরদিকে নিজ নিজ রাজ্যে বিজেপিকে রুখে দিতে ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করা অত্যন্ত প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই নিজেদের মধ্যে খেয়োখিয়ি করতে গিয়ে দিল্লি হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির। সেখানে কুর্সিতে বসেছে বিজেপি। তারপরই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছিলেন, কংগ্রেস–আপ একসঙ্গে থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না। একসঙ্গে থাকতে হবে। এবার জাতীয় রাজনীতিতে অভিনেতা তথা সমাজকর্মী কমল হাসান জায়গা পাচ্ছেন। তিনিও ইন্ডিয়া জোটের হয়ে কাজ করবেন। যাতে বিজেপিকে রোখা যায়।
এবার সংসদীয় রাজনীতিতে আসছেন অভিনেতা তথা সমাজকর্মী কমল হাসান। তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিএমকে নেপথ্যে কারিগরের কাজ করছে। আর তাই ডিএমকে’র পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আর তাই কমল হাসানকে শুভেচ্ছা জানান তামিলনাড়ুর উপমুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ কমল হাসানের গোটা দেশে মারাত্মক ফ্যান ফলোয়ার বিশাল। আর কমল হাসান বরাবরই বিজেপি বিরোধী। তাই একদিকে ইন্ডিয়া জোটের ক্ষেত্রে ব্যবহার এবং রাজ্যের জন্য ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন: মোটরবাইককে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে বেরিয়ে গেল ট্রেন, বাউড়িয়া স্টেশনে বড় দুর্ঘটনা
কমল হাসানকে সামনে রেখেই ২০২৬ সালে ডিএমকে ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে। কমল হাসানকে সমর্থন দিয়ে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে ভোট প্রচারে নামানো হবে। তখন প্রতিপক্ষ যাঁরাই থাকুক না কেন কমল হাসানের কথাকে তামিলনাড়ুর মানুষজন অত্যন্ত বিশ্বাস করেন। সেক্ষেত্রে বিজেপিকে বড় বেগ দেওয়া যাবে। আগামী জুন মাসে তামিলনাড়ুর ছ’টি রাজ্যসভার আসন ফাঁকা হচ্ছে। আর সেখানে আগের চুক্তিমতো এবার ডিএমকে নিজেদের কোটা থেকে কমল হাসানকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চলেছে। গ্ল্যামার জগতের এই তারকা রাজনীতির ময়দানে নামলে কম্পন বেশ জোরালো হবে বলে মনে করা হচ্ছে।