লাইভ টিভিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ব্যঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমার বিরুদ্ধে। সেই ভিডিয়ো অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভাইরাল ফুটেজে দেখা যায়, ম্যাক্সিমাকে ট্রাম্পের মতো মুখের অভিব্যক্তি করছেন। সেই সময় তিনি আবার ট্রাম্পের ঠিক পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে নেদারল্যান্ডসে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই সময়ই এই ভিডিয়োটি করা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: শিশুরাও নিরাপদ নয় পাকিস্তানে, UNSC-র মঞ্চে পড়শির দুমুখো চেহারা তুলে ধরল ভারত)
আরও পড়ুন: অনড় ভারতের কড়া জবাব, পাক-চিনের 'অশুভ চালের' পালটা পদক্ষেপ রাজনাথের
ভিডিয়োতে দেখা যায়, রানি ও তার স্বামী রাজা উইলেম-আলেকজান্ডারের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সময় ট্রাম্পের মতো 'মুখ' করতে দেখা যায় ম্যাক্সিমাকে। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, ডাচ রানি কি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ব্যঙ্গ করলেন? এদিকে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের জন্য নেদারল্যান্ডসে যাওয়া ট্রাম্প বিলাসবহুল হোটেলে ওঠেনি। তিনি ছিলেন ডাচ রাজপ্রাসাদে। (আরও পড়ুন: ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা ইস্যুতে ট্রাম্পকে স্বস্তি দিল CIA? সামনে নয়া দাবি)
রাজপ্রসাদে ট্রাম্পের সময় কেমন কাটল, সেই বিষয়ে জানতে চান ডাচ রাজা। তিনি ট্রাম্পকে বলেন, 'আমি আশা করি আপনি ভালো ঘুমিয়েছেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, 'দারুণ লাগলো, বাড়িটা... (এরপর ট্রাম্প কী বলেন, তা শোনা যায়নি)'। সেই সময় ট্রাম্প ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসছিলেন। এর এক সেকেন্ড পরই রানি ম্যাক্সিমাকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের অভিব্যক্তি নকল করতে দেখা যায়। (আরও পড়ুন: বড় দায়িত্ব ভারতীয় নভোচরের কাঁধে, মহাকাশে আজ কী করবেন শুভাংশুরা?)
আরও পড়ুন: ইরান নিয়ে অবস্থান 'বদল', মার্কিন হামলার 'সমালোচনায়' ভারত
বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলির ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে নিজেও সংশয় প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, হামলার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য 'অসম্পূর্ণ'। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। উল্লেখ্য, ইরানের ওপর হামলার পর থেকেই ট্রাম্প দাবি করে এসেছিলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে আমেরিকা।
তবে এর কয়েক ঘণ্টা পরই ট্রুথ সোশ্যালে ফের নিজের পুরনো অবস্থানে ফিরে যান ট্রাম্প। ফের একবার সিএনএন এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টকে ভুয়ো বলে দাবি করেন ট্রাম্প। পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, 'ইরানে হামলা চালানোর জন্য বোমারু বিমান ওড়ানো মহান আমেরিকান পাইলটরা খুবই হতাশ। শত্রু এলাকার ওপর দিয়ে বিপজ্জনকভাবে ৩৬ ঘণ্টা উড়ে এসেছেন তাঁরা। আর এখানে আসার দু'দিন পর তাঁদের সিএনএন এবং দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের ফেক নিউজ পড়তে হচ্ছে।'