কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিমূলক খবর ছড়ানো চ্ছে সীমান্তের ওপরা থেকে। পাকিস্তানের এই 'ডিপ স্টেট' প্রচারণা ছড়ানোর অভিযোগে সোমবার সকালে ভারত শত শত পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে। সরকারের শীর্ষ সূত্রগুলি এই ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে ভারত, ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক, সাম্প্রদায়িক ও মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেলগুলির মাধ্যমে। (আরও পড়ুন: 'হাসিনাকে চুপ রাখতে বললে মোদী আমাকে বলেন...', এবার সত্যিটা মানলেন খোদ ইউনুস)
আরও পড়ুন: ISIS-এর সঙ্গে তুলনা, পাকিস্তানকে ফালাফালা করলেন ওয়াইসি, বললেন…
উল্লেখ্য, বিগত ৪ দিন ধরে পাকিস্তানের তরফ থেকে গুলিবর্ষণ চলছে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর। এরই মাঝে পাকিস্তানের সেনার মনবল তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে দাবি করা হয়েছে বহু রিপোর্টে। এই কারণে কয়েকশো সেনা নাকি বাহিনী থেকে পদত্যাগ করার জন্যে চিঠি লিখেছেন। এদিকে বাহিনীর প্রধান জেনারেল অসিম মুনিরকে জনসমক্ষে দেখা যাচ্ছে না বহুদিন ধরে। দাবি করা হচ্ছে, তিনি তাঁর পরিবারকে ইতিমধ্যেই বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের সেনার ভাবমূর্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ জোর ধাক্কা খেয়েছে। সঙ্গে তারা আতঙ্কিত। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের হাতিয়ার ভুয়ো প্রচার। (আরও পড়ুন: এবার বাংলাদেশকে 'শিক্ষা' দেওয়ার নিদান, নতুন দেশের পক্ষে সওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর)
এর আগে সম্প্রতি অরুণাচলপ্রদেশের জঙ্গলে লেগে যাওয়া আগুনকে কাশ্মীরে সেনা ঘাঁটি ধ্বংসের ভিডিয়ো বলে চালিয়েছিল পাক মিডিয়াগুলি। এদিকে প্রতিদিনই তারা দাবি করছে, বহু ভারতীয় সেনা জওয়ান নাকি শহিদ হচ্ছে। ভারতের শিখ এবং মুসলিমদের মধ্যেও বিভেদের বীজ ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে পাকিস্তনি মিডিয়া। এই সব নিয়ে ভিত্তিহীন প্রচার করে চলেছে পাক সংবাদমাধ্যম এবং বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানলে তা সম্প্রচারিত হচ্ছে। (আরও পড়ুন: ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে মুখ খুলল মার্কিন বিদেশ দফতর, কী আহ্বান আমেরিকার?)
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই আবহে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে আতঙ্কিত ইসলামাবাদ। এই আবহে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে পাকিস্তান ভারতীয় সেনা পোস্টে হামলা চালিয়েছে। বিশেষ বিষয় হল, সীমান্তে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করছে পাক সেনা। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক্স-এ শেয়ার করা একটি ভিডিয়োতে আগুন জ্বলছে। এছাড়াও একটি ছবি পোস্ট করা হয়, যাতে আগুন দেখা যাচ্ছে। সেই ভিডিয়োটি ২০২৪ সালের। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার। ভিডিয়োতে দাবি করা হয়, সেখানে নাকি মর্টার ব্যবহার করে ভারতীয় দুটি সেনা পোস্ট ধ্বংস করে দিয়েছে পাক সেনা। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলিবর্ষণ করা হয়েছে, যার জেরে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এই আবহে পিআইবি অর্থাৎ প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো এই ভিডিয়োটির ফ্যাক্টচেক করেছে, যেখানে জানানো হয়েছে, ভিডিয়োতে করা দাবিটি মিথ্যা। সেখানেই জানানো হয়, ভিডিয়োটি ২০২৪ সালে খাইবার প্রদেশের জাতিগত হিংসার পরের।