সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের সময় 'কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব' প্রদানের জন্য পাকিস্তানের তরফে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে নৃশংস জঙ্গি হানার পর পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে ভারতীয় সেনা চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এরপরই সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণা আসে। আর সেই সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন সময় তাঁর নিজের ভূমিকার নিয়ে বহু দাবিমূলক বক্তব্য রাখেন। সদ্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিতে আমেরিকা ছোটেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। আর মুনিরের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের পরই পাকিস্তানের শেহবাজ শরিফ সরকার ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে।
পাকিস্তান সরকার কর্তৃক X পোস্টে ঘোষণা করা হয়,' পাকিস্তান সরকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করেছে। সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংকটের সময় তাঁর সিদ্ধান্তমূলক কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ পাকিস্তান সরকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
বুধবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে আতিথ্য দেওয়ার পরপরই এই মনোনয়ন দেওয়া হয় - ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চার দিনের সামরিক উত্তেজনার পর এটি একটি বিরল বৈঠক। জিও নিউজ অনুসারে, মুনির হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজে ট্রাম্পের সাথে যোগ দিয়েছিলেন, যদিও তাদের কথোপকথনের সুনির্দিষ্ট বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি। প্রকাশ্যে আসেনি ছবিও।
( ফের রেল দুর্ঘটনা! ট্রলির সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা, মৃত ১, আহত ৪, কোথায় ঘটল?)
'ফিল্ড মার্শাল' উপাধিধারী মুনির এর আগে ট্রাম্পের নোবেল মনোনয়নের পক্ষে ছিলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য তাঁকে কৃতিত্ব দিয়েছিলেন পাক সেনাপ্রধান। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যানা কেলি বৈঠকের আগে নিশ্চিত করেছিলেন যে 'ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ রোধ করার জন্য প্রেসিডেন্টকে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করার আহ্বান জানানোর পর ট্রাম্প মুনিরকে আতিথ্য দেবেন।' ট্রাম্পের সাথে অসীম মুনিরের সাক্ষাৎ একটি 'গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অর্জন'। ডনের মতে, পাকিস্তানি কর্মকর্তারা সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে হোয়াইট হাউসের আমন্ত্রণকে একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসাবে উপস্থাপন করছেন। পাহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারত ৭ মে অপারেশন সিন্দুর শুরু করে, পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে সন্ত্রাসী শিবিরগুলিতে হামলা চালায়। এর ফলে চার দিন ধরে সীমান্তে তীব্র লড়াই শুরু হয়, যা ১০ মে উভয় দেশের সামরিক নেতারা যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হওয়ার পর শেষ হয়। ভারত দাবি করে যে তাঁদের শক্তিশালী সামরিক প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানকে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানাতে বাধ্য করেছে। পাকিস্তানে মুনিরকে সম্প্রতি ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়েছে, যা ১৯৫৯ সালে সেদেশে আইয়ুব খানের পর এই পদবিধারী প্রথম কর্মকর্তা।