বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Chinmoy Krishna Bail denied issue :চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন খারিজ ‘বিচারের উপহাস’, বলছেন বাংলাদেশে প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত
পরবর্তী খবর
Chinmoy Krishna Bail denied issue :চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন খারিজ ‘বিচারের উপহাস’, বলছেন বাংলাদেশে প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 03 Jan 2025, 12:33 AM ISTSritama Mitra
বীণা সিকরি বলেন,' মহম্মদ ইউনুস চিন্ময় দাসকে নিয়ে কোনও কথা বলেননি। তিনি কেবল একজন আইনজীবীর কথা বলেছিলেন যিনি মারা গিয়েছিলেন এবং এটি নিয়েই তিনি তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।'
বাংলাদেশে এদিন ছিল হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর জামিনের শুনানি। আর তা খারিজ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত বীণা সিকরি বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। বাংলাদেশে যখন বহু সন্ত্রাসী কেসে একের পর এক দোষী সাব্যস্তের জেলমুক্তি হচ্ছে, তখনও চট্টগ্রাম আদালতে জামিন পেলেন না চিন্ময় প্রভু। এদিন চিন্ময়প্রভুকে নিয়ে নিয়ে মুখ খোলেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত বীমা সিকরি।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বীণা সিকরি বলেন,' আমি মনে করি এটা খুবই দুঃখজনক। এটা দুঃখজনক। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আবারও জামিন নাকচ করা হয়েছে এটা বিচারের উপহাস। আপনি জানেন, এমনকি তাঁর গ্রেফতারের কারণ, তারা তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনেছে, কিন্তু কোন প্রমাণ দেওয়া হয়নি। তারা ২৫ অক্টোবর কিছু সমাবেশের কথা বলছে, কিন্তু দেখানোর মতো কোনো প্রমাণ নেই... চট্টগ্রাম আদালতে মামলা হয় এবং চিন্ময় দাসকে ঢাকা বিমানবন্দরে গ্রেফতার করে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় জামিন নামঞ্জুর করা হয় যা খুবই অস্বাভাবিক এবং আদালতে আইনজীবী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় এবং এতে একজন আইনজীবীর মৃত্যু হয়।' আরও উল্লেখযোগ্যভাবে বাংলাদেশের প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিশ্লেষণের সুরে বলছেন,' প্রফেসর মহম্মদ ইউনুস চিন্ময় দাসকে নিয়ে কোনও কথা বলেননি। তিনি কেবল একজন আইনজীবীর কথা বলেছিলেন যিনি মারা গিয়েছিলেন এবং এটি নিয়েই তিনি তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তাই এটা খুবই দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক এবং জাতীয় ন্যায়বিচারের সমস্ত নীতি, মানবিক দিকগুলির সমস্ত নীতির বিরুদ্ধে। বর্তমানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সাথে যা ঘটছে তা সত্যিই বিশ্বাসের বাইরে।'
যে পদ্ধতিতে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিচারের প্রক্রিয়া চলছে, তা নিয়েও সমালোচনার সুর চড়া করেন বীণা সিকরি। তিনি বলছেন,'প্রথমবার যখন জামিনের শুনানি হয়, তখন চিন্ময় কৃষ্ণের পক্ষ থেকে কোনও আইনজীবী ছিলেন না, এবং তাই শুনানি স্থগিত করা হয়। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়, তবে যে কোনও স্বাভাবিক বিচার ব্যবস্থার অধীনে এবং বাংলাদেশ ও ভারতের আইন ব্যবস্থায় বিধান অনুযায়ী এবং অন্যান্য অনেক দেশের ক্ষেত্রে, চিন্ময় কৃষ্ণের নিজের আইনজীবী না থাকলে, রাষ্ট্রকে একজন আইনজীবী দিতে হয়।' এই জায়গা থেকে ইউনুস সরকারের আমলের খামতির অংশটি তুলে ধরে বীণা সিকরি বলছেন,' শুনানি চলতে থাকে, কিন্তু তারা প্রদান করেনি আইনজীবী। তারপর আজ, আমি বিশ্বাস করি ১১ জন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাঁকে রক্ষা করতে এসেছিলেন, কিন্তু আবার জামিন অস্বীকার করা হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত, আমাদের কাছে কোন কারণ নেই যে কেন জামিন অস্বীকার করা হয়েছে।'