ঘৃণার রাজনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি ১০৮ জন প্রাক্তন আমলার। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা খোলা চিঠিতে প্রাক্তন আমলারা দিল্লি, অসম, গুজরাত, হরিয়ানা, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যগুলিতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরেন। শঙ্কা প্রকাশ করে আমলাদের বক্তব্য, দেশ জুড়ে সংখ্যালঘুদের প্রতি বিদ্বেষ এবং অসহিষ্ণুতা ছড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রাক্তন আমলাদের আবেদন যাতে এই প্রচেষ্টা অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ করা হয়।
প্রাক্তন আমলারা চিঠিতে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের রাজনীতি প্রচারের অভিযোগ তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা খোলা চিঠিতে প্রাক্তন আমলারা বলেছেন, দেশে ঘৃণার রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত। প্রাক্তনরা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আরও লিখেছেন যে এই বছর ভারত যখন স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছে, তখন তাঁরা আশা করছেন যে প্রধানমন্ত্রী পক্ষপাতমূলক মনোভাব ত্যাগ করে সবার সাথে সমান আচরণ করবেন। চিঠিতে লেখা, এই ভয়াবহ সামাজিক হুমকির মুখে আপনার নীরবতায় মনে হচ্ছে সবাই বধির।
আরও পড়ুন: এক জাতি, এক ধর্ম এবং এক ঈশ্বর নীতি মানলে কেউ ভারতকে ভাগ করতে পারবে না: মোদী
প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন, প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব সূরজা সিং, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব জেকে পিল্লাই, দিল্লির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নজীব জং, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মুখ্য সচিব টিকেএ নায়ার সহ মোট ১০৮ জন প্রাক্তন আমলা এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন৷ চিঠিতে লেখা আছে- আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের নির্মিত সাংবিধানিক ভবন ভেঙে ফেলা হচ্ছে। তাঁরা এতে ক্ষুব্ধ। তাই তাঁরা তাঁদের মনের কথা বলতে এবং তাঁদের দুঃখ প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, গত কয়েক মাসে অসম, গুজরাত, হরিয়ানা, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মতো রাজ্যগুলিতে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। দিল্লি বাদে এই প্রতিটি রাজ্য বিজেপি শাসিত। দিল্লির পুলিশের নিয়ন্ত্রণ আবার কেন্দ্রের হাতে। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে গত কয়েক বছরে সেখানে পরিস্থিতি খুবই গুরুতর হয়ে ওঠে। চিঠিতে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে সবকা সাথ, সবকা বিকাশের প্রতিশ্রুতি হৃদয় দিয়ে পূরণ করার জন্য আবেদন জানান প্রাক্তন আমলারা।