দেশের সকল গবেষকদের জন্য এবার কেন্দ্রীয় সরকার চালু করছে 'ওয়ান নেশন, ওয়ান সাবস্ক্রিপশন' প্রকল্প। এর ফলে কেন্দ্র এবং রাজ্যের সব গবেষকরাই এবার সমান ভাবে গবেষণা পত্র এবং অ্যাকাডেমিক জার্নাল হাতে পাবেন। এর ফলে গবেষণার পরিসর আরও 'গণতান্ত্রিক' এবং 'সার্বজনিক' হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের ফলে ১.৮ কোটি পড়ুয়া এবং গবেষকরা উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২৫ থেকে ২০২৭ অর্ছবর্ষের জন্যে 'ওয়ান নেশন, ওয়ান সাবস্ক্রিপশন' প্রকল্পে মোট ৬০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর জন্যে উচ্চশিক্ষা দফতরের একটি নির্দিষ্ট পোর্টাল লঞ্চ করা হবে। (আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ধৃত চিন্ময় প্রভুকে নিয়ে বড় নির্দেশ চট্টগ্রামের আদালতের)
আরও পড়ুন: আরজি করের PM রিপোর্ট নিয়ে ছিল প্রশ্ন, আদালতে কী বললেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক?
রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত গবেষণাপত্র এবং জার্নাল এক ছাতার তলায় আনতেই এই 'ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন' প্রকল্প চালু করা হয়েছে। সোমবার দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই প্রকল্পকে অনুমোদন দেওয়া হয়। দেশে উচ্চশিক্ষার গুণগত মান আরও বৃদ্ধি করতে এবং দেশের তরুণদের সামনে আরও গবেষণার সুযোগ খুলে দিতে চলেছে এই 'ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন' প্রকল্প। উল্লেখ্য, প্রায় দু'বছর ধরে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছিল। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুসরণ করেই এই প্রকল্প চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। এছাড়া বিকশিত ভারত এবং ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা হয়েছে এই প্রকল্পে। (আরও পড়ুন: পকেটে আগুন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের, এরই মাঝে ডিএ বাড়ল পুরকর্মীদের)
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? জল্পনার মাঝেই পদত্যাগ একনাথ শিন্ডের
জানানো হয়েছে, আগামী ২০২৫ সাল থেকে এই প্রকল্প শুরু হতে চলেছে। এই প্রকল্পের আওতায়, রাজ্য ও কেন্দ্রের প্রায় ৬ হাজার ৩০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ইউজিসির অন্তর্ভুক্ত সংস্থা ইনফর্মেশন অ্যান্ড লাইব্রেরি নেটওয়ার্কের আওতায় ৩০টি প্রধান আন্তর্জাতিক জার্নাল প্রকাশককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই 'ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন' প্রকল্পে। এই প্রকাশকদের প্রায় ই-জার্নাল পড়ুয়ারা ব্যবহার করতে পারবেন কেন্দ্রের এই প্রকল্প ব্যবহার করে। এদিকে দেশের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির শহরগুলিতে বসবাসকারী পড়ুয়া, শিক্ষক এবং গবেষকরা এই প্রকল্পের ফলে অনেকটা সুবিধা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।