বিবেকানন্দ রকে নরেন্দ্র মোদীর ধ্যানে আপত্তি ছিল বিরোধীদের। এই কর্মসূচি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের সামিল বলে দাবি করা হয়েছিল। তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, মোদীর ধ্যান কর্মসূচি নির্বাচনী আদর্শ আদরণবিধি লঙ্ঘন করছে না। কমিশন সেই কথা জানাতেই প্রকাশ্যে এল ধ্যানমগ্ন মোদীর প্রথম ছবি। এর আগে গতরাতে মোদীর একটিও ধ্যানের ছবি কোথাও প্রকাশিত হয়নি। তবে কমিশনের ক্লিনটচিট আসতেই সামনে এল মোদীর ছবি। তাতে দেখা যাচ্ছে, মোদী গেরুয়া চাদর জড়িয়ে হাতে রুদ্রাক্ষের মালা নিয়ে যপ করছেন। এদিকে জানা গিয়েছে, এই ৪৫ ঘণ্টার ধ্যানের সময় কোনও অন্ন গ্রহণ করবেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী। শুধুমাত্র ডাবের জল, আঙুরের জ্যুস ও অন্যান্য পানীয় পান করবেন এই সময়কালে। এই পুরো সময়টাই মৌন ব্রত পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী। (আরও পড়ুন: ব্রিটেন থেকে ১০০ টন সোনা দেশে আনল RBI, মোট কত পরিমাণ হলুদ ধাতু আছে ভারতের কাছে?)
আরও পড়ুন: বাংলায় মোদীর থেকে ৪.৫ গুণ বেশি মার্কস পেলেন মমতা, তবে হারলেন শুভেন্দুর কাছে
রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০ মে সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে ১ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত মোদী ধ্যান করবেন বিবেকানন্দ রকে। এই মর্মে ৩০ মে প্রচারের সময়সীমা শে ,হতেই প্রথমে তিরুবনন্তপুরম পৌঁছে যান মোদী। সেখান থেকে এমআই-১৭ হেলিকপ্টারে কন্যাকুমারী যান প্রধানমন্ত্রী। তিনি কন্যাকুমারী সমুদ্র সৈকত থেকে সূর্যাস্ত প্রত্যক্ষ করে সন্ধ্যায় ধ্যানে বসেন। ১ জুন বিকেল সাড়ে তিনটেয় কন্যাকুমারী থেকে ফিরবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদী ধ্যানের জন্য যে পাথরটি বেছে নিয়েছিলেন তা বিবেকানন্দের জীবনে একটি বড় প্রভাব ফেলেছিল। বিবেকানন্দ সারা দেশ ঘুরে এখানেই এসেছিলেন। এখানে তিন দিন ধ্যান করেছিলেন। বলা হয়, এই পাথরে ধ্যান করার সময়ই উন্নত ভারতের জন্য একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। আবার পূরাণ মতে, এই স্থানেই ভগবান শিবের জন্য ধ্যান করেছিলেন পার্বতী।
আরও পড়ুন: অটল অগ্নিবাণের লক্ষ্যভেদ, হইচই ছাড়াই বিশ্বকে মহাকাশে যাওয়ার নয়া পথ দেখাল ভারত