ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে বিরোধী এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডকে বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে। এরই মাঝে অবশ্য সরকার সংসদে বিলটিকে পাশ করিয়ে নিয়েছে। এই আবহে দারা শিকোহ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মহম্মদ আমির রশিদ দাবি করলেন, এই বিল পাশ হওয়ায় মুসলিমরা খুবই খুশি। তিনি দাবি করেন, তাঁরা এই খুশিতে পটকা ফাটিয়েছেন। উল্লেখ্য, এর আগে লোকসভায় এই বিল উপস্থাপনের দিনও দিল্লি এবং ভোপালে বহু মুসলিম মহিলাদের মোদী বন্দনা করতে দেখা গিয়েছিল। (আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে সংসদে জয়, তবে বিজেপির সামনে অপেক্ষা করছে বড় পরীক্ষা)
আরও পড়ুন: অবশেষে পেলেন সাক্ষাৎ, মোদীর সাথে হাত মিলিয়ে মুখে হাসি ইউনুসের, দেখুন ভিডিয়ো
দারা শিকোহ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মহম্মদ আমির রশিদ বলেন, 'ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫ রাজ্যসভায় পাস হয়েছে এবং দরিদ্র এবং পসমন্দা মুসলমানরা এতে খুব খুশি... ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল একটি নতুন আশার আলো নিয়ে এসেছে... আমরা পটকা ফাটিয়েছি, মোমবাতি জ্বালিয়েছি এবং বিল বিতরণ করেছি... ২০২৫ মুসলমানদের জন্য উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।' (আরও পড়ুন: ১০ দিন আগে হয় বাগদান, নিজের প্রাণ দিয়ে কো-পাইলট ও আরও অনেককে বাঁচালেন IAF পাইলট)
আরও পড়ুন: বিদ্রোহ-অভ্যুত্থানের চেষ্টার মাঝে প্রতিবেশী দেশের সেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে মোদী
উল্লেখ্য, এই ওয়াকফ সংশোধনী বিলটি প্রথমে জেপিসিতে পাঠানো হয়েছিল। যৌথ সংসদীয় কমিটিতে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা হয় এটি নিয়ে। এরপর এখন ফের এটি সংসদে উপস্থাপিত হয়। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হয়েছে। শাসক দল বলছে, মুসলিমদের স্বার্থেই এই ওয়াকফ সংশোধনী বিল আনা হচ্ছে। বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, এই বিলে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে।
এরই মাঝে গতকাল গভীর রাতে রাজ্যসভাতেও পাশ হয় ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। বৃহস্পতিবার বিলটি পেশ করা হয়েছিল সংসদের উচ্চকক্ষে। সেখানেও প্রায় ১২ ঘণ্টা আলোচনা হয় এই বিলটি নিয়ে। এরপর তা অনুমোদিত হয় রাজ্যসভাতেও। বিলটির পক্ষে ১২৮টি এবং বিপক্ষে ৯৫টি ভোট পড়ে উচ্চকক্ষে। রাত ২টো ৩৪ মিনিটে এই ভোটাভুটির ফল ঘোষিত হয়। উল্লেখ্য, ওয়াকফ সম্পত্তির প্রশাসন ও পরিচালনার উন্নতির লক্ষ্যে মোদী সরকার এই বিলটি এনেছিল বলে দাবি শাসকপক্ষের। এই আবহে গতকাল রাত ১২টা ৫৫ নাগাদ ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে বিতর্কের উপরে জবাবি ভাষণ দেওয়া শুরু করেন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তারপর রাত ১টা ১১ মিনিটে রিজিজুর জবাবি ভাষণ শেষ হয়। এরপর উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড় বিল পাশের বিষয়টি বিবেচনার জন্য ধ্বনিভোটের মাধ্যমে সম্মতি চান। ধ্বনিভোটে সরকার পক্ষকে জয়ী ঘোষণা করেন তিনি। তবে বিপক্ষ ডিভিশনের (ভোটাভুটি) দাবি জানায়। এরপর ভোটাভুটি শুরু হয় রাজ্যসভায়। এই বিলটি পাশ করাতে বিজেপির প্রয়োজন ছিল ১১৯টি ভোটের। তারা সেই সংখ্যা থেকে বেশ কিছুটা বেশি ভোটই পায়। ৩৩ ভোটের ব্যবধানে বিলটি পাশ হয় সংসদের উচ্চকক্ষে।