সম্প্রতি অনুপ্রবেশ নিয়ে বিএসএফ-কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে মুখ খুলল বিদেশ মন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হল, সীমান্তে বাহিনীর তরফ থেকে অনিয়মের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। বাহিনী আইন মেনে কাজ করছে বলে দৃঢ় কণ্ঠে দাবি করেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র।
Ad
অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে BSF, অভিযোগ করেছিলেন মমতা, জবাবে বিদেশ মন্ত্রক বলল... (ফাইল ছবি - পিটিআই)
সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যে একাধিক বাংলাদেশি জঙ্গি ধরা পড়েছে। ভিন রাজ্য থেকেও যে সব জঙ্গি ধরা পড়েছে, তাদের কাছ থেকে মিলেছে পশ্চিমবঙ্গের ঠিকানার আধার কার্ড। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়ছিল। এরই মাঝে অনুপ্রবেশ নিয়ে পালটা বিএসএফ-কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে মুখ খুলল বিদেশ মন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হল, সীমান্তে বাহিনীর তরফ থেকে অনিয়মের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। বাহিনী আইন মেনে কাজ করছে বলে দৃঢ় কণ্ঠে দাবি করেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। (আরও পড়ুন: তুরস্ক থেকে ট্যাঙ্ক কিনছে বাংলাদেশ, সবটাই দেখছে ভারত, বিদেশ মন্ত্রক বলল...)
এই নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আসা-যাওয়া নিয়মমাফিক হচ্ছে। নিয়ম না মানলে আইনমাফিক সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। আমাদের সীমান্তে থাকা নিরাপত্তাবাহিনী, সেনার কাজ হল ওই আইন রক্ষা করা।' এদিকে সম্প্রতি বাংলায় ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রের পর্দা ফাঁস হয়েছিল। এই আবহে পাসপোর্ট ইস্যুতে রণধীর বলেন, 'ভারতীয়দের জন্যই ভারতীয় পাসপোর্ট। তার থেকে কোনও বিচ্যুতি হলে যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। আগামী দিনেও নেবেন।' (আরও পড়ুন: আরজি কর নিয়ে একের পর এক 'তত্ত্ব', আদালতে ফাইনাল সাবমিশনে কী বলল CBI?)
এর আগে মমতা বিএসএফ-কে নিয়ে বলেছিলেন, 'বর্ডার গার্ড পুলিশ দেয় না। কিন্তু পুলিশের কাছে ইনফরমেশন থাকে। ঢোকার পর কোথায় যাচ্ছে। জেলাশাসকদের কাছে ইনফরমেশন থাকে। কিন্তু তারা কোনও ইনফরমেশন দেয়নি। রাজীব কুমার আমাকে কিছু ইনফরমেশন দিয়েছে। বাকি ইনফরমেশন আমার চাই। কারণ আমি একটা স্ট্রং চিঠি লিখব। কেন এটা করা হচ্ছে। বিএসএফ ইসলামপুর দিয়ে লোক ঢোকাচ্ছে। আমাদের কাছে খবর আছে। সিতাই দিয়ে ঢোকাচ্ছে। চোপড়া দিয়ে ঢোকাচ্ছে। আরও অনেক জায়গা দিয়ে ঢোকাচ্ছে। বিএসএফ মেয়েদের ওপর অত্যাচার করছে। কিন্তু আপনাদের দিক থেকে কোনও প্রতিবাদ কেন হয়নি?' (আরও পড়ুন: 'দ্বিতীয় আরজি কর হবে', শান্তিপুরে মহিলা ডাক্তারকে হুমকি সুপারের, নিষ্ক্রিয় পুলিশ)
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো আরও বলেছিলেন, 'বর্ডার আমাদের হাতে নয়। বর্ডার বিএসএফের হাতে। যারা বাইরে থেকে আসে। ভিসাও আমাদের হাতে নেই। কেন্দ্রের হাতে। যারা প্লেনে আসে তাদের তালিকা আগে আমাদের দিত, এখন দেয় না। মানে আমরা জানতে পারি না কারা আসছে। কারা ঢুকছে। আমরা তো চাই ওখানেও শান্তি থাক, এখানেও শান্তি থাক। আমরা তো দুই বাংলার মধ্যে কোনও খারাপ সম্পর্ক নেই। এখানে গুন্ডা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খুন করছে, চলে যাচ্ছে এই রকম লোক পাঠানো হচ্ছে। এটা বিএসএফের অনেক ভিতরকার কাজ। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের একটা ব্লু প্রিন্ট আছে। নইলে এটা হত না। আমি বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি। যা করবেন আপনারা সেটাই আমাদের পথ। কিন্তু আমি যদি দেখি আমার রাজ্যকে ডিস্টার্ব করার জন্য জঙ্গি হানাতে কেউ মদত দিচ্ছে সেক্ষেত্রে তো আমাদের প্রতিবাদ করতেই হবে। সেজন্য আমাদের প্রতিবাদপত্র যাবে।'