প্রেমিকাকে বিয়ের জন্য ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকের পরিচয়ে যাত্রীদের জাল টিকিট বিক্রির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বারাণসী গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ। ধৃত আদর্শ জয়সওয়াল মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার বাসিন্দা। তার কাছ থেকে রেল আধিকারিকের একটি ভুয়ো পরিচয়পত্র ও টিটিই অ্যাপ্রন উদ্ধার হয়েছে। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করলেও কোথাও চাকরি পাননি তিনি। প্রেমিকাকে বিয়ে করার চাপে ওই পথ নেন তিনি। (আরও পড়ুন: 'সরকারের ভূমিকা আছে', কসবা কাণ্ডে বিস্ফোরক আরজি করের নির্যাতিতার বাবা)
আরও পড়ুন: কোন সময়সীমার বকেয়াকে মান্যতা রাজ্যের? স্পষ্ট ডিএ মামলার হলফনামায়
আরও পড়ুন-রূপকথার বিয়ে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা বেজোস ও স্যানচেজের, ভেনিসে চাঁদের হাট
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবক বি টেক পাশ। তবে চাকরি পাচ্ছিলেন না। এদিকে,প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন আদর্শ। কিন্তু চাকরি পেলে তবেই তাঁর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেবে বলে জানিয়ে দেয় প্রেমিকার পরিবার। এই অবস্থায় টিকিট পরীক্ষক সেজে প্রতারণা করে সহজে রোজগারের পথ বেছে নেন ওই আদর্শ।মধ্যপ্রদেশ থেকে বারাণসী আসার আগে গ্রামের বাড়ির কাছে একটি সাইবার ক্যাফেতে টিকিট পরীক্ষকের ভুয়ো পরিচয়পত্রও তৈরি করেন আদর্শ। এরপর বারাণসীতে এসে টিকিট পরীক্ষকের কাজ শুরু করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী সব ঠিকই চলছিল তাঁর।এমনকী প্রেমিকার বাড়িতেও খবর পৌঁছে যায় যে, টিকিট পরীক্ষকের চাকরি পেয়েছেন যুবক। কিন্তু একটি ভুলই তাঁর সব কারসাজি ফাঁস হয়ে যায়।এক যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের জালে ধরা পড়েন আদর্শ। (আরও পড়ুন: ইউনুসের 'মাতব্বরির মাশুল', ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আরও চাপে বাংলাদেশ)
আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরে ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, RAW-এর পরবর্তী সচিব এই IPS অফিসার
সম্প্রতি জ্যোতি কিরণ নামে এক যাত্রীকে জনতা এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রি করেন আদর্শ।সেই টিকিটে কোচ নম্বর হিসাবে উল্লেখ ছিল বি ৩।বারাণসী থেকে ওঠার কথা ছিল তাঁর।এদিকে ট্রেন ধরতে গিয়ে ওই যাত্রী দেখতে পান বি ৩ কোচই নেই। এরপরেই অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।জ্যোতির অভিযোগ, ট্রেন ধরতে এসে তিনি দেখেন বি ৩ কোচই নেই ট্রেনে। তার পরিবর্তে রয়েছে এম ২। তারপরই সন্দেহ হয় তাঁর। তিনি সঙ্গে সঙ্গে রেলকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অন্যদিকে, বেশ কয়েকদিন আগেই এমনই একটি অভিযোগ পেয়েছিল রেল। দীনেশ যাদব নামে এক যাত্রীকে মুম্বই যাওয়ার জন্য অনলাইনে টিকিট কেটে দিয়েছিলেন আদর্শ।কিন্তু টিকিট দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। তারপর টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসাও হয়। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পরেছিল রেলের কাছে। এরপরই আদর্শর বিষয়ে যাবতীয় তথ্য জোগাড় করে পুলিশ। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে বারাণসী রেল পুলিশ।