লখনউ–বারাউনি এক্সপ্রেস ১৫২০৪ রেল লাইন ধরে যাওয়ার সময় হঠাৎ সহকারী লোকো পাইলট কিশান কুমার লক্ষ্য করেন ওই মেয়েটি বাচওয়ারা এবং তেঘরা স্টেশনের মধ্যে রেললাইনের ওপর খেলছে। তখন লোকো পাইলট ট্রেনের হুইসেল বাজিয়ে শিশুকে সতর্ক করার চেষ্টা করেন।
Ad
লোকো পাইলটের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল শিশুর। প্রতীকী ছবি
দুই লোকো পাইলটের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল তিন বছরের এক শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে পূর্ব সেন্ট্রাল রেলওয়ের অধীনে সোনেপুর ডিভিশনের বাচওয়ারা স্টেশনের কাছে। শুক্রবার সকালে রেল লাইনের ওপরে ওই শিশু চলে এসেছিল। ট্রেনের হুইসল দেওয়ার পরেও শিশুটি লাইন থেকে সরে যাওয়ায় শেষে জরুরী ব্রেক কষে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেন লোকো পাইলট। পরে শিশুকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দুই লোকো পাইলট যেভাবে শিশুটির প্রাণ বাঁচিয়েছেন তাতে সকলেই তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লখনউ–বারাউনি এক্সপ্রেস ১৫২০৪ রেল লাইন ধরে যাওয়ার সময় হঠাৎ সহকারী লোকো পাইলট কিশান কুমার লক্ষ্য করেন ওই মেয়েটি বাচওয়ারা এবং তেঘরা স্টেশনের মধ্যে রেললাইনের ওপর খেলছে। তখন লোকো পাইলট ট্রেনের হুইসেল বাজিয়ে শিশুকে সতর্ক করার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি ঘটেছিল সকাল ৭.১৫ টা নাগাদ। কিন্তু, তারপরেও শিশুটি রেল লাইন থেকে না সরায় জরুরী ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন লোকো পাইলট আরএমপি যাদব। যার ফলে শিশুটির প্রাণ বাঁচে। ২ লোকো পাইলট নিজেদের বোঝাপড়ার মাধ্যমে যেভাবে তৎপরতা দেখিয়েছেন তাতে তাঁদের বাহবা জানিয়েছেন যাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয়দের সকলেই।
এদিকে, ট্রেনটি জরুরী ব্রেক কষার পর যাত্রীরা অবশ্য আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সজোরে ট্রেন থানার কারণ খতিয়ে দেখতে অনেকেই ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। তখনই জানতে পারেন আসল কারণ। এদিকে, গ্রামবাসীরাও সেখানে জড়ো হন। পরে মেয়েটিকে তার বাবা মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, মেয়েটি রেল লাইনের পাশেই একটি গ্রামে থাকে। খেলতে খেলতে সে রেললাইনের উপর চলে এসেছিল। তবে সে শিশু হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তার পক্ষে বোঝা সম্ভব ছিল না কোনটি বিপজ্জনক। ট্রেনের হুইসল শোনার পরেও ফলে রেললাইন থেকে সরে না গিয়ে সেখানেই খেলছিল শিশুটি।