নিজের দল গড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন সাত বছর আগে। এবার তামিল চিত্রতারকা কমল হাসন সংসদীয় রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছেন।বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে যোগ দিতে চলেছেন অভিনেতা-রাজনীতিক এমএনএম প্রধান কমল হাসন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-কংগ্রেস জোটকে সমর্থন জানিয়েছিল কমল হাসনের দল মক্কাল নিধি মাইয়ম। কিন্তু তামিলনাড়ুতে কোনও প্রার্থীই দেয়নি তাঁর দল। এবার উপহারস্বরূপ কমল হাসনের দলকে রাজ্যসভার নির্বাচনে একটি আসন ছেড়ে দেয় তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকে।
রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে এনডিটিভি-কে অভিনেতা জানান, তিনি ‘সম্মানিত’ ও একই সঙ্গে সচেতন তাঁর উপরে মানুষের যে আশা-ভরসা রয়েছে, সে নিয়ে। কমল বলেন, ‘এই যাত্রা শুরু নিয়ে আমি সম্মানিত। আমি জানি আমাকে আরও অনেক কিছু করতে হবে। আমার থেকে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আমি আশা করি, সে সব পূরণ করতে পারব।আমি সৎ, আন্তরিক থাকার এবং তামিলনাড়ু ও ভারতের পক্ষে কথা বলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’ এই বছরের শুরুতেই কমল হাসন সংসদে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, 'এই বছর আমাদের কণ্ঠ সংসদে শোনা যাবে। আগামী বছর রাজ্য বিধানসভাতে আপনাদের কণ্ঠ শোনা যাবে।'
আরও পড়ুন-অগ্নিগর্ভ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া! থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘর্ষ, বাড়ছে উত্তজেনা
গত বছর লোকসভা ভোটে তামিলনাড়ুর ৩৯টি কেন্দ্রের একটিতেও প্রার্থী দেয়নি এমএনএম। নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছিল ডিএমকে-কংগ্রেস-বাম জোটকে। সে সময়ই স্ট্যালিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সংসদের উচ্চকক্ষের ভোটে কমলকে সমর্থন করা হবে। ২০১৮-য় কমল এমএনএম গড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন। শুরুটা করেছিলেন ডিএমকে, এডিএমকে, বিজেপি, কংগ্রেসের চিরাচরিত রাজনীতির বিরোধিতায় নতুন রাজনীতির সন্ধান দিতে। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিশেষ সাফল্য মেলেনি।২০২১ আগে বিধানসভায় নিজে কোয়ম্বত্তূর থেকে লড়ে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিলেন। কোনও আসনে না জিতলেও কয়েকটি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে সমঝোতা করে তিন শতাংশ ভোট পেয়েছিল কমলের দল।
আরও পড়ুন-অগ্নিগর্ভ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া! থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘর্ষ, বাড়ছে উত্তজেনা
২০২২ সালে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিয়ে বিরোধী শিবিরে শামিল হয়েছিলেন তিনি। শিবাজি গণেশন থেকে এমজি রামচন্দ্রন, জয়ললিতা থেকে ক্যাপ্টেন বিজয়কান্ত, করুণানিধি থেকে শরথকুমার, তামিল রাজনীতিতে রূপোলি পর্দার অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালক, চিত্রনাট্যকারদের প্রভাবের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এবার কি সেই তালিকাতেই জুড়তে চলেছে কমল হাসনের নাম।