বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি মন্তব্য করেছেন, রাজ্যটিতে কংগ্রেস সরকার গঠনের পর থেকেই এই ধরনের অপরাধ বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পালটা জানিয়েছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বেলগাভির ঘটনা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
জেপি নড্ডা। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)
প্রেমিকার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার 'অপরাধে' প্রেমিকের মাকে খুঁটিতে বেঁধে নগ্ন করে মারধর করা হয়েছিল। কর্ণাটকের বেলগাভির সেই ঘটনায় ক্রমেই চড়ছে রাজনীতির পারদ। এই ঘটনায় কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটক সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে এটিকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। পালটা এই ধরনের ঘটনা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি মন্তব্য করেছেন, রাজ্যটিতে কংগ্রেস সরকার গঠনের পর থেকেই এই ধরনের অপরাধ বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পালটা জানিয়েছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বেলগাভির ঘটনা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
উল্লেখ্য, বেলগাভির ঘটনার পরেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পাঁচ মহিলা সদস্যের একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। পাঁচ সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারঙ্গি, সুনীতা দুগ্গল, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। নড্ডা বলেন, বেলাগাভির ঘটনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে কর্ণাটকে দলিতদের ওপর অত্যাচার বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস সরকারে থাকাকালীনও সেখানে দলিদের উপর অত্যাচার বেড়েছিল।
এদিকে, এই ঘটনার পরেই উপ-মুখ্যমন্ত্রী শিবকুমার জানিয়েছিলেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের সরকার ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা সব অপরাধীকে গ্রেফতার করেছি। কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। কংগ্রেস সারা দেশে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷’