রাত থেকেই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের সেনা। পাল্টা একের পর এক কড়া জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বারবার পাকিস্তান ব্যর্থ হলেও দমেনি। জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষবিরতি অব্যাহত রেখেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত নানা জায়গায় গোলাগুলি চালিয়েছে পাকিস্তানের সেনা। আর তার জেরে বারামুলা জেলার উরিতে পাকিস্তানের ছোড়া গোলার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। আহতও হয়েছেন একাধিক। আজ, শুক্রবার আবার জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু সীমান্তে সতর্ক বিএসএফ তা বানচাল করে দিল। সাম্বায় অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় নিকেশ হয়েছে ৭ জঙ্গি।
এদিকে তখন গাড়িতেই আছড়ে পড়ে পাকিস্তানের ছোড়া শেল। তার জেরে গুরুতর জখম হন ওই মহিলা। তখন তাঁকে বারমুলায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এখনও উরির কাছে রামপুরে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণ জারি আছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিম সীমান্ত বরাবর নানা জায়গায় রাতভর ড্রোন হামলা চালাতে চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হয়েছে। অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা আসলে জইশ–ই–মহম্মদের সদস্য। পাকিস্তানের মাটিতে থাকা লঞ্চপ্যাড ব্যবহার করে ভারতে ঢুকে নাশকতা করার ছক কষেছিল জঙ্গিরা বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: দিঘাগামী এসবিএসটিসি’র বাসে ভিড় রোজ বাড়ছে, দৈনিক আয় বৃদ্ধি এক লক্ষ টাকা
অন্যদিকে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি। আহত হয়েছেন বহু সাধারণ নাগরিক। সাম্বার আন্তর্জাতিক সীমানার কাছে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় বিএসএফ বলে খবর। আর স্কুলগুলিকে নিশানা করে গোলাবর্ষণ করছে পাকিস্তান। এই স্কুলগুলিতেই উত্তর কাশ্মীরের গ্রামগুলি খালি করে বাসিন্দাদের নিয়ে এসে রাখা হয়েছে। আজ ভোর ৫টার সময় কুপওয়ারায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। যে সময়ে এই অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হয় তখন জম্মু, পাঠানকোট, উধমপুর এবং অন্যান্য সেক্টরগুলিতে পাকিস্তানের সেনা পরপর মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছিল।