কয়েকদিন আগেই আমেরিকায় গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর এবার ব্রিটেনে গিয়ে সেই দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করলেন ভারতের এস জয়শংকর। এদিকে ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠকের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়ে জয়শংকর লেখেন, ' দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে আমাদের দু'জনের মধ্যে। আমরা ইউক্রেন সংঘাত, পশ্চিম এশিয়া, বাংলাদেশ এবং কমনওয়েলথসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলোতে আলোকপাত করেছি। একটি অনিশ্চিত ও অস্থির বিশ্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।' (আরও পড়ুন: শরীরের কোথায় লুকিয়ে সোনা পাচার করত রানিয়া? চোখ কপালে তোলা তথ্য এল সামনে)
আরও পড়ুন: চলতি বছরে ১০.২ বিলিয়ন হারিয়েও ধনকুবেরদের তালিকায় ২১-এ আদানি, আম্বানির হাল কী?
এদিকে ল্যামির সঙ্গে বৈঠক নিয়ে জয়শকংর আরও জানান, ভারতও ব্রিটেনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সব দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা। বিশেষ করে কৌশলগত সমন্বয়, রাজনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য চুক্তি, শিক্ষা, প্রযুক্তি, গতিশীলতা এবং দুই দেশের জনগণের বিনিময়ের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে বলে জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী। দুই দেশের সম্পর্ক যাতে আরও এগিয়ে নেওয়া যায়, সেই বিষয়ের ওপর জোর দেওয়ার বার্তা দেন জয়শংকর। উল্লেখ্য, ৪ ও ৫ মার্চ ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন চেভেনিং হাউজে ছিলেন জয়শংকর। (আরও পড়ুন: ডিএ নিয়ে 'বাজে খবর' অপেক্ষা করছে সরকারি কর্মীদের জন্যে? বড় আপডেট রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: PCB সভাপতিকে নিয়ে লাহোরে প্রভু রামের পুত্র লবের সমাধিতে BCCI সহসভাপতি! দেখুন ছবি
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা ভারতে আসার পরে সেখান থেকে ব্রিটেনে যেতে চেয়েছিলন বলে দাবি করা হয়েছিল রিপোর্টে। তবে সেই সময় হাসিনাকে আশ্রয় দিতে অস্বীকার করেছিল ব্রিটিশ সরকার। এদিকে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ কনজারভেটিভ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তবে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল সম্প্রতি। এর জেরে রাজনৈতিক ভাবে চাপে পড়েছিলেন কনজারভেটিভ প্রধান কিয়ের স্টারমার। এই আবহে জয়শংকরের সঙ্গে ল্যামির বাংলাদেশ ইস্যুতে আলোচনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে রাশিয়া এবং ইউক্রেন নিয়ে অবস্থান বদলেছে আমেরিকার। এই আবহে ইউক্রেন ইস্যুতেও ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয় জয়শংকরের। (আরও পড়ুন: প্যালেস্তাইনে বন্দি ১০ ভারতীয়কে উদ্ধার করল ইজরায়েল, কেন আটকে রাখা হয়েছিল তাদের?)
এদিকে লন্ডনে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের ওপরে হালমার চেষ্টা নিয়ে মুখ খোলে ব্রিটেন। সেই দেশের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) একজন মুখপাত্র এই নিয়ে বলেছেন, 'ব্রিটেন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সমর্থন করে। তবে ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া বা পাবলিক ইভেন্টগুলিকে ব্যাহত করার যে কোনও প্রচেষ্টা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করি আমরা। মেট্রোপলিটন পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করব। সমস্ত কূটনৈতিক অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'