মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে 'সন্দেহ' করছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)। তবে হামলায় সুনির্দিষ্ট কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে জানিয়েছে তারা। শনিবার রাতে ইরানের অন্তত তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তার মধ্যে অন্যতম ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্র।
নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দু’জন ইজরায়েলি কর্মকর্তা জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগে ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে অধিকাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম এবং অন্যান্য সরঞ্জাম একটি গোপন স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। তবে এই দাবির বিষয়ে আইডিএফ মুখপাত্র এফি ডেফরিন বলেন, 'এই মুহূর্তে এই দাবির সত্যতা নির্ধারণ করা এখনও সম্ভব হয়নি।' তিনি জানান, 'ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে অধিকাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করে বলার মতো পর্যাপ্ত তথ্য তাদের কাছে এখনও নেই।'
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্রে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে আর্থ ইমেজিং কোম্পানি প্ল্যানেট ল্যাবস। ছবিতে সেখানে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন দেখা গিয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ছবির বিশ্লেষণ করে জানায়, মাটির নিচে থাকা এই ফোরদো কেন্দ্রে প্রবেশপথে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন স্পষ্ট। এটি একটি পাহাড়ের নিচে অবস্থিত। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, পাহাড়টির কিছু অংশের রং পরিবর্তিত হয়েছে; আগে যা বাদামি ছিল, এখন তা ধূসর দেখা যাচ্ছে। পাহাড়ের গঠনে সূক্ষ্ম পরিবর্তনও লক্ষ করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-বৃদ্ধের ঘাড়ের উপর প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি! অন্ধ্রপ্রদেশে বিপাকে জগনমোহন রেড্ডি
তবে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স-সহ ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে ইরানের ইউরেনিয়ামের ভাণ্ডার কোথায় আছে, তা তাঁরা জানেন না। ভ্যান্স জানিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করছে না, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করছে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে।
ভ্যান্সের মতে, 'এই অভিযান ছিল সত্যিই অসাধারণ। ইরানের পরমাণু সক্ষমতাকে অনেকটা পিছনে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।' তাঁর মতে, মাত্র একদিনের ব্যবধানে ইরান ‘অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে’ তাদের পরমাণু কর্মসূচির অগ্রগতিতে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইনও জানিয়েছেন, পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিকে ট্রাম্পের সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত করার দাবি সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না।
আরও পড়ুন-বৃদ্ধের ঘাড়ের উপর প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি! অন্ধ্রপ্রদেশে বিপাকে জগনমোহন রেড্ডি