ইজরায়েল বলছে, হুথিদের ‘ কৌশলী পরিকাঠামো ধ্বংস করা হবে। তাদের নেতাদের মুণ্ডচ্ছেদ করা হবে, যেভাবে আমরা হানিয়ে, সিনওয়ার, নাসারাল্লাহকে তেহরান, গাজা, লেবাননে করেছি।’
এবার হুথি জঙ্গিদের প্রতি তুমুল হুঁশিয়ারি খোদ ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ক্যাটজের তরফে। তিনি সদ্য এক বার্তায় সাফ জানিয়েছেন, ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফুঁড়ে ইজরায়েল, ইরানের বুকে প্রভাব ফেলেছে। আর সেই সঙ্গে তিনি হুথি জঙ্গিদের প্রতিও কড়া হুঁশিয়ারি দেন। তবে তাঁর মন্তব্যে যেমন ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা আরও কয়েক গুণ বেড়ে গেল, তেমনই আবার ইজরায়েল কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে যে, ইরানের মাটিতেই হামাসের প্রধান হানিয়েকে খুন করেছে নেতানিয়াহুর দেশ।
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন,' আজকাল, যখন হুথি সন্ত্রাসী সংগঠন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে, আমি আমার মন্তব্যের শুরুতে তাদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই… আমরা হামাসকে পরাজিত করেছি, আমরা হিজবুল্লাহকে পরাজিত করেছি, আমরা ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অন্ধ করে দিয়েছি এবং প্রোডাকশন সিস্টেমের ক্ষতি করেছি।, আমরা সিরিয়ায় আসাদ সরকারকে উৎখাত করেছি।' এরইসঙ্গে হুঁশিয়ারির সুর চড়া করে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলছেন,' আমরা খারাপ শক্তির উপর একটি গুরুতর আঘাত হেনেছি , এবং আমরা ইয়েমেনের হুথি সন্ত্রাসী সংগঠনের গুরুতর আঘাতের মোকাবিলা করব, যারা এখন তাদের শেষ পর্যায়ে রয়েছে।' হুথিদের তোপ দেগে ইজরায়েল বলছে, হুথিদের ' কৌশলী পরিকাঠামো ধ্বংস করা হবে। তাদের নেতাদের মুণ্ডচ্ছেদ করা হবে, যেভাবে আমরা হানিয়ে, সিনওয়ার, নাসারাল্লাহকে তেহরান, গাজা, লেবাননে করেছি। আমরা এটা হোদেইদা ও সানাতে করব।'
উল্লেখ্য, ইরানের বুকে হামাস চিফ হানিয়েকে যে ইজরায়েল খুন করেছে, তা ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট। এদিকে, ইরানের মদতে ইয়েমেনের সংগঠন হুথিরা জলপথে ক্রমাগত তাণ্ডব চালাচ্ছে। তারা লোহিত সাগরে থাকা বাণিজ্য জাহাজগুলিকে আক্রমণ করে যাচ্ছে, যাতে ইজরায়েলের পথে জাহাজগুলির রাস্তা বন্ধ হয়। হুথির দাবি, প্যালেস্তাইনে ইজরায়েল যা করছে, তার বদলা হিসাবে জলপথে হুথিরা ইজরায়েলকে একহাত নিচ্ছে। এদিকে, এর আগে, ইরানের তেহরানে হামাস প্রধান হানিয়ের মৃত্যু নিয়ে সেভাবে সরাসরি কথা বলেনি ইরান। তবে, এবার হুথিদের হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে, ইজরায়েল কার্যত মেনে নিয়েছে যে ইরানের বুকেই হানিয়েকে তারা খুন করেছে। যা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ইরান-ইজরায়েল সম্পর্কে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।