
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ইসকনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীকে সাসপেন্ড করা হল। প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, সাসপেন্ড হওয়া সেই পড়ুয়া আইন বিভাগের। চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের আবহে চট্টগ্রাম উত্তাল। এদিকে সেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা পথে নেমেছে। জুলাই বিল্পবের ছাত্র নেতারাও ইসকনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সারজিস আলম চট্টগ্রামে ইসকন এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছেন সম্প্রতি। এই আবহে অভিযোগ, সাসপেন্ড হওয়া সেই পড়ুয়া নাকি ঘটনার সময় চট্টগ্রাম আদালতের সামনেই ছিলেন। এই আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য পড়ুয়ারা নাকি সেই হিন্দু শিক্ষার্থীকে সাসপেন্ড করার দাবি তুলেছিলেন। সেই আবহে পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সালাউদ্দিন শাহরিয়ার। (আরও পড়ুন: জেলে ভরেই খান্ত হল না বাংলাদেশ, চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপের ঘোষণা)
আরও পড়ুন: ইসকনকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি, দাবি বাংলাদেশ সরকারের
এর আগে সম্প্রতি বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। তাঁর গ্রেফতারির পর থেকে আরও উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন বর্তমানে 'বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের' ব্যানারে আন্দোলন করছে। সেই জোটের মুখপাত্র করা হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে। প্রসঙ্গত, গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুও। সেই সমাবেশেই নাকি তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছিলেন। এই অভিযোগেই চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। গত ৩১ অক্টোবর চিন্ময় দাস-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সেই নেতা। (আরও পড়ুন: কানাডায় ভারতীয় কনস্যুলেট আধিকারিকদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে ট্রুডো সরকার)
আরও পড়ুন: আছে আরও তেল! পশ্চিমবঙ্গে ১০০ বর্গকিলোমিটার জমিতে খননের অনুমতি চেয়েছে কেন্দ্র
সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। এরপর তাঁকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে অভিযোগ, চিন্ময় প্রভুকে কারাগারে ওষুধ দিতে দেওয়া হয়নি পুলিশের তরফে। ধৃত হিন্দু নেতাকে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে হেনস্থা করার অভিযোগও উঠেছে। এদিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের ঘটনার জেরে বাংলাদেশে সংখ্য়ালঘুদের মধ্য়ে শোরগোল পড়ে যায়। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ এই গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছে। এদিকে চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় নেমেছেন কয়েক হাজার হিন্দু। এরই মধ্যে প্রতিবাদী বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে নোটিশ সৌগত রায়ের, 'অসন্তুষ্ট' মমতা: রিপোর্ট)
২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালতে বাইরে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে জড়ো হয়েছিলেন চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানাতে। সেই জনতার ওপর নির্বিচারে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এই সংঘর্ষে এক আইনজীবী খুন হন। এদিকে বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসীকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬। সেদিন সংঘর্ষে এক আইনজীবী নিহত হন বলেও দাবি করা হয়। সেই খুনের ঘটনায় ৮ জন হিন্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports