জিয়া হক
জেনেটিকালি মডিফায়েড সর্ষেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার ব্যাপারে ছাড়়পত্র দিল জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্য়াপ্রাইসাল কমিটি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই ধরণের সর্ষে চাষের ব্যাপারে ছাড়পত্র দেওয়ার অর্থ হল এটি চাষ করলে পরিবেশগত কোনও সমস্যাও হবে না।
এদিকে ২০০৯ সালে প্রথম তৎকালীন ইউপিএ সরকারের পরিবেশমন্ত্রী জয়রাম রমেশ ভারতে প্রথম জেনেটিকালি মডিফায়েড খাবারের বিষয়টি সামনে এনেছিলেন। সেই সময় প্রথম শোনা গিয়েছিল বিটি বেগুনের কথা। এবার নয়া উদ্যোগের মাধ্যমে দেশ চাইছে সর্ষের উৎপাদন আগের তুলনায় বৃদ্ধি করতে। এর জেরে সরষের তেলের জন্য় আর অন্য়ের উপর নির্ভর করতে হবে না। সর্ষের তেলের উৎপাদনেও আত্মনির্ভর হতে পারবে ভারত।
এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বর্তমানে জেনেটিকালি মডিফায়েড সর্ষে একেবারে অনুমোদিত প্রোডাক্ট যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকারের তরফে এনিয়ে নতুন করে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা না হয়। মনে করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার এনিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারে। তবে রাজ্য সরকার মনে করলে চূড়ান্ত বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারে। তবে এই জেনেটিকালি মডিফায়েড সর্ষে চাষ হলে মৌমাছি বা পরাগ সংযোগের অন্য়ান্য ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না সেটাও দেখা হয়েছে।
উইকিপিডিয়া অনুসারে দেখা যাচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতিতে এই ধরনের ফসলের ডিএনএর কিছু পরিমার্জন করা হয়। এভাবেই তৈরি হয় জেনেটিকালি মডিফায়েড ফসল। কোনও প্রজাতির ফসলের মধ্য়ে প্রাকৃতিকগতভাবে যে বিষয়টি রয়েছে তারও কিছু পরিবর্তন হতে পারে এই নয়া ব্যবস্থার মাধ্যমে।