হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল রাকেশ পালের। কোস্টগার্ডের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে অস্বস্তি বোধ করায় রবিবার দুপুরের দিকে তাঁকে চেন্নাইয়ের রাজীব গান্ধী জেনারেল হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তারপর সন্ধ্যায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের চেন্নাই সফরের জন্য অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন তিনি। সেইসময় বুকে ব্যথা অনুভব করেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
ছুঁতেন না মদ, সিগারেট; সর্বদা থাকতেন ফিট
গত বৃহস্পতিবার দিল্লির লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যে শীর্ষ আধিকারিকরা যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল রাকেশ পাল। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ২৫ তম ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন তিনি। পেশাদারিত্ব এবং সহজাত নেতৃত্বের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। যিনি মদ বা সিগারেট ছুঁয়ে দেখতেন না। নিরামিষশাসী ছিলেন। ফিটনেস নিয়েও অত্যন্ত সচেতন ছিলেন ৫৯ বছরের অফিসার।
শোকপ্রকাশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর
ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল রাকেশ পালের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে রাজনাথ বলেন, 'আজ চেন্নাইয়ে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল রাকেশ পালের অকাল প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত। উনি অত্যন্ত দক্ষ অফিসার ছিলেন। ভারতের সামুদ্রিক নিরাপত্তার আরও জোরদার তাঁর নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করছিল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।'
কোস্টগার্ডের ডিরেক্টর জেনারেল রাকেশ পালের পরিচিতি
১) ১৯৮৯ সালের ১ জানুয়ারিতে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান নেভাল অ্যাকাডেমির প্রাক্তনী।
২) তিনি কোচির আইএনএস দ্রোণাচার্যে বন্দুক এবং অস্ত্র সিস্টেম নিয়ে 'স্পেশালাইজেশন' করেছিলেন। ব্রিটেন থেকে ইলেকট্রো-অপটিকস ফায়ার কন্ট্রোলেও 'স্পেশালাইজেশন' করেছিলেন তিনি। ভারতীয় কোস্টগার্ডের প্রথম 'গানার' হওয়ার নজির গড়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বাঙালির ব্যাগে ১০ কেজি রাসায়নিক! বিমানে তোলার আগেই আগুন, মুম্বইয়ে ধৃত ৫
৩) দীর্ঘ কেরিয়ারে গান্ধীনগরে কোস্টগার্ড কমান্ডার (উত্তর-পশ্চিম) ছিলেন। দিল্লিতে কোস্টগার্ডের সদর দফতরে অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল ছিল। দায়িত্বপালন করেছিলেন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেলেরও (নীতি)। তাছাড়া কোস্টগার্ডের সদর দফতরের ডিরেক্টর (পরিকাঠামো) এবং প্রিন্সিপাল ডিরেক্টর (প্রশাসন) পদেও ছিলেন।
৪) উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল রাকেশ পাল। তাঁর দুই মেয়ে আছে - স্নেহাল এবং তারুশি।