সদ্য মার্কিন আকাশসীমায় দেখা গিয়েছে চিনের গুপ্তচর বেলুন। যে বেলুনকে কার্যত তখনই গুলি করে নামিয়ে দিয়েছে আমেরিকা। ঘটনার পর থেকে মার্কিন-চিন রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এদিকে, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে যখন ওই বেলুনের অবৈধ ঘোরাফেরা চর্চায় রয়েছে, তখন সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ভারতের এমন কয়েকটি দ্বীপ যা দিল্লি থেকে দূরে আর সিঙ্গাপুরের কাছে, সেই দ্বীপে এক বছর আগেও এমনই এক উড়ন্ত বস্তু দেখা যায় আকাশে। যে উড়ন্ত বস্তুর সঙ্গে মিল রয়েছে মার্কিন আকাশে দেখতে পাওয়া চিনা গুপ্তচর বেলুনের।
বলা হচ্ছে, যে সময় উড়ন্ত বস্তুটি দেখা গিয়েছিল, সেই সময় ‘গুপ্তচর বেলুন’ সম্পর্কে সেভাবে সজাগ অনেকেই ছিলেন না। একটি তথ্য বলছে, আন্দামান নিকোবরের আকাশে অদ্ভূত উড়ন্ত বস্তুর আনাগোনায় অনেকেই অবাক হয়ে ছিলেন। অনেকেই তার ছবিও তোলেন। উল্লেখ্য, সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় করার পরই ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ সজাগ হয়। প্রসঙ্গত, প্রতিরক্ষার স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে ওই দুই দ্বীপ ভারতের মিসাইল পরীক্ষার জায়গার কাছে। এছাড়াও সেগুলি মালাক্কা প্রণালীর অনেকটাই কাছে। আর এই দুই দ্বীপই চিনে জলপথে শক্তি সম্পর্কিত পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এদিকে, যখন মার্কিন আকাশে এমন ভয়াবহ গুপ্তচর বেলুনকে দেখা গিয়েছে, তখন ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ এক বছর আগের সেই ঘটনাকে ফের একবার খতিয়ে দেখছেন বলে দাবি নয়া রিপোর্টে। উল্লেখ্য, এমন বেলুনকে গুঁড়িয়ে দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকা Aim-9X সিডউইন্ডারই যথেষ্ট , তবে ভারতের কাছে এই ধরনের রহস্যময় বস্তু গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য ভরসা কেবলই যুদ্ধবিমান। এছাড়াও পিরবহনের এয়ারক্রাফ্ট থেকে ভারী মেশিনগান দিয়ে গুলি চালনা অন্যতম রাস্তা। প্রশ্ন উঠছে, এমন পরিস্থিতিতে ভারত এবার নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে কোন পথে হাঁটবে? ( ২০ বছর আগের ধর্ষণকাণ্ডে ৮৬ বছর বয়সী প্রাক্তন বিধায়কের ১০ বছরের কারাবাসের সাজা)
জানা যাচ্ছে, যে রহস্যময় উড়ন্ত বস্তুকে দেখা গিয়েছে ওই দ্বীপপুঞ্জের আকাশে সেটি বিভিন্ন ব়্যাডার যেখানে লাগানো রয়েছে, তার কাছ দিয়ে গিয়েছে। এই রহস্যময় বস্তুকে ঘিরে কী করণীয়, বা তাকে গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত কি না, বা সেটি কী হতে পারে, তা নিয়ে সন্দেহ থাকাকালীনই ওই বস্তু ধিরে ধীরে মহাসাগরের দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তে চলে যায়। ফলে এর ভৌগলিক দিকও বেশ খানিকটা ইঙ্গিতবহ। ভারত যতক্ষণে এই বস্তু নিয়ে সিদ্ধান্ত নিত,ততক্ষণে সেই রহস্যময় বস্তু অন্যদিকে চলে যায়। যে স্বাভাবিক প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে, তা হল, এই বস্তুটি কোথা থেকে এসেছে? তা নিয়ে খুব সহজে কোনও ভারতীয় অফিশিয়াল মুখ খুলতে রাজি নন। যাতে কোনও কূটনৈতিক জটিলতার মেঘ নতুন করে ভারতের ওপর না ছড়িয়ে যায়, তার দিকে তাকিয়েই আপাতত এই বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup