সদ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ভারতের জন্য ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হয়েছে। যেখানে পাকিস্তানের জন্য ১৯ শতাংশ, আর বাংলাদেশের জন্য ২০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছে আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে এখনও চলছে বাণিজ্যিক সমঝোতার আলোচান। এদিকে, এরই মাঝে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা ‘ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স’র ডিরেক্টর ভারতীয় বংশোদ্ভূত তুলসী গ্যাবার্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আমেরিকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয় কাওত্র।
এক এক্স পোস্টে বিনয় কওত্র জানিয়েছেন, ‘ডিএনআই ( ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টালিজেন্স) তুলসী গ্যাবার্ড এবং তার স্বামী আব্রাহাম উইলিয়ামসের সাথে দেখা করে আনন্দিত, পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের মধ্যে বহু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’ এর আগে শনিবার, নয়াদিল্লি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরও আটটি ভারতীয় কনস্যুলার অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (ICAC) খুলেছে - বোস্টন, কলম্বাস, ডালাস, ডেট্রয়েট, এডিসন, অরল্যান্ডো, র্যালি এবং সান জোসে - যার ফলে আমেরিকায় মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৬টিতে দাঁড়িয়েছে। এই মাসের শেষের দিকে লস অ্যাঞ্জেলেসে ১৭তম কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত কাওত্র এই ঘোষণায় আনন্দ প্রকাশ করেন এবং উল্লেখ করেন যে ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানুষে মানুষে সম্পর্ক। ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন,'আমরা ৮টি নতুন ভারতীয় কনস্যুলার অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার খোলার ঘোষণা করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত... আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্বের প্রাণকেন্দ্র হলো মানুষে মানুষে সম্পর্ক।'
ভারতীয় মিশন এবং ভিএফএস গ্লোবাল যৌথভাবে ঘোষিত এই সম্প্রসারণের লক্ষ্য হল ভারতীয় আমেরিকান এবং ভারত-সম্পর্কিত ডকুমেন্টেশনের জন্য আবেদনকারী ও অন্যান্য আবেদনকারীদের জন্য আমেরিকায় প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি আরও সহজলভ্য করা। এই কেন্দ্রগুলি ভারতের ভিসা আবেদন, ভারতের বিদেশী নাগরিকত্ব (ওসিআই) আবেদন, ভারতীয় পাসপোর্ট পরিষেবা, ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, গ্লোবাল এন্ট্রি প্রোগ্রাম আবেদন এবং ডকুমেন্ট অ্যাটেস্টেশন পরিষেবা সহ বিস্তৃত পরিসরের পরিষেবা পরিচালনা করবে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বক্তব্য রাখেন। সেই ভাষণে মোদী সাফ জানিয়েছেন, ‘বিশ্বের কোনও নেতাই অপারেশন সিঁদুর বন্ধ করতে বলেননি।’ এর আগে, গত ১০ মে থেকে ট্রাম্প দাবি করছেন, ভারত ও পাকিস্তানের সদ্য হওয়া সংঘাত তিনি থামিয়েছেন। এদিকে, সংসদে মোদীর ঘোষণার পরই ট্রাম্পের আমেরিকার তরফে ভারতের জন্য ২৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়। রাশিয়া, ভারত সম্পর্ক নিয়েও সদ্য তাঁর বক্তব্যে পারদ চড়িয়েছেন ট্রাম্প। এই আবহে আমেরিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত গোয়েন্দা চিফের সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।