ভারতের ম্যাপকে বিকৃত করে দেখানো হয়েছে টুইটার প্লাটফর্মে, এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। কোম্পানির ওয়েবসাইটে Tweeplife শীর্ষক একটি পেজ। মূলত তারই কেরিয়ার সেকশনে যে ম্যাপটি ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে লাদাখ, জম্মু, কাশ্মীরের অংশগুলিকে আলাদা করে দেখানো হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল হিন্দুস্তান টাইমস। তবে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।তবে এটাই প্রথমবার নয়, যখন সরকার এই মানচিত্রের বিকৃতকরণের অভিযোগকে সামনে আনল। গতবছর অক্টোবর মাসে টুইটারের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছিল ভারত সরকার। মূলত সেবার লে'র জিওট্যাগে জায়গাটি চিনের অংশ বলে উল্লেখ করা হচ্ছিল। সেবার টুইটারের সিইও জ্যাক ডোরসেকে চিঠি পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের ম্য়াপকে এভাবে ভুলভাবে উপস্থাপিত করার বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। টুইটারের কাছে সরকার জানতে চেয়েছিল, কেন এই মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে সরকার কোনও ব্যবস্থা নেবে না? সোস্যাল মিডিয়ার গাইডলাইন নিয়ে বিতর্কের রেশ ফুরোনর আগেই সামনে আসছে এই নয়া বিতর্ক। পাশাপাশি উইকিপিডিয়াকেও সতর্ক করেছে ভারত সরকার। মূলত দেশের সীমান্ত সংক্রান্ত ব্যাপারে একটি বিশেষ পাতাকে নিয়েই আপত্তি তুলেছে সরকার। এটিকে মুছে ফেলার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ১২ই ফেব্রুয়ারি হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, এই ধরণের তথ্য দেশের অখন্ডতাকে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। তবে শুধু ভারতের ক্ষেত্রে নয়, আমেরিকার ম্যাপও বিকৃত করেছে টুইটার। এমন অভিযোগও উঠেছে। অ্যালবেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার ক্ল্যারি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে টুইটার অন্তত ১০টি মার্কিন রাজ্যকে অন্য দেশ বলে উল্লেখ করেছে।’