মৃত ব্যক্তির নাম নরেন্দ্র কুমার হালদার (৩৫)। তিনি পয়াগপুর থানা এলাকার কৃষ্ণ নগর কলোনীর বাসিন্দা। পাশের জেলা লখিমপুর খেরির গোলা গোকর্ণনাথে ভাগ্নিকে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময়, নায়েব তহসিলদারের গাড়ির সঙ্গে রাম গাঁও থানার অন্তর্গত এলাকায় চৌপাল সাগরের কাছে বাইকের ধাক্কা লাগে।
Ad
ধাক্কা মেরে দেহ ৩০ কিমি দূর অবধি টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল সরকারি আধিকারিকের গাড়ি
দুর্ঘটনার পর গাড়ির নিচে আটকে ছিল এক বাইক আরোহীর মৃতদেহ। সেই দেহ ৩০ কিলোমিটার দূরে টেনে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে। আর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল দেহ আটকে থাকার বিষয়টি জানতেই পারলেন না ওই আধিকারিক এবং তাঁর চালক। এমন ঘটনায় ওই সরকারি আধিকারিককে বরখাস্ত করেছে জেলা প্রশাসন। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমনই ঘটনা সামনে এসেছে উত্তর প্রদেশের বাহরাইচ জেলার নানপাড়া-বাহরাইচ সড়কে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম নরেন্দ্র কুমার হালদার (৩৫)। তিনি পয়াগপুর থানা এলাকার কৃষ্ণ নগর কলোনীর বাসিন্দা। পাশের জেলা লখিমপুর খেরির গোলা গোকর্ণনাথে ভাগ্নিকে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময়, নায়েব তহসিলদারের গাড়ির সঙ্গে রাম গাঁও থানার অন্তর্গত এলাকায় চৌপাল সাগরের কাছে বাইকের ধাক্কা লাগে। তারপর ঘটনাস্থল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে নানপাড়ায় তহসিল অফিসে গাড়িটি গিয়ে থামে।
গাড়িটি গন্তব্যে পৌঁছানোর পর দেখা তার নিচে বাইক চালকের ক্ষতবিক্ষত দেহ আটকে রয়েছে। এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন সামনে এসেছে। একইসঙ্গে দেহটিকে গাড়ির নিচে আটকে রাখা হয়েছিল কি না তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। এবিষয়ে জেলা শাসক মণিকা রানী বলেন, গাড়িটি তহসিলদারকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, নায়েব তহসিলদার শৈলেশ কুমার অবস্থি সেটি সরকারি কাজে ব্যবহার করছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, অবহেলার জন্য ওই আধিকারিককে বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়েছে।