দক্ষিণী এই রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী সিবনকুট্টি বলেন,'আমি ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি এবং জেলা শ্রম কর্মকর্তাকে তদন্ত করে ঘটনার সাথে সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। '
অফিস দিয়েছিল টার্গেট। আর সেই টার্গেট নির্দিষ্ট ডেডলাইনের মধ্যে পূরণ করতে না পারায়, কেরলের এক মার্কেটিং সংস্থা তার কর্মীদের কুকুরের মতো করে হামাগুড়ি দিইয়ে, কয়েন চাটতে বাধ্য করে অমানবিক অত্যাচার করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনার ভিডিয়ো (এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে যায়। তড়িঘড়ি কেরলের শ্রমমন্ত্রী ভি সিবনকুট্টি দিয়েছেন তদন্তের নির্দেশ।
কেরলের এক স্থানীয় চ্যানেলে ওই ভিডিয়োর দৃশ্য সম্প্রচারিত হতেই তুমুল হইচই শুরু হয়ে যায়। সেখানে দেখা যায়, সংস্থার যে সমস্ত কর্মীরা তাঁদের অফিসের দেওয়া নির্দিষ্ট পেশাগত টার্গেট পূরণ করতে পারেননি, বা ভালো পারফর্ম করতে পারেননি অফিসে, তাঁদের হাঁটু গেড়ে বসিয়ে হামাগুড়ি দেওয়ানো হচ্ছে। বেল্ট দিয়ে তাঁদের আটকে, কুকুরের মতো করে হামাগুড়ি দেওয়ানো হয়। এরইসঙ্গে তাঁদের কয়েন চাটতেও বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই খবর সামনে আসতেই ঘটনা নিয়ে কেরলের শ্রমমন্ত্রী ভি সিবনকুট্টি পদক্ষেপ করেন। তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তড়িঘড়ি জেলা শ্রম অফিসারকে তিনি এই বিষয়ে রিপোর্ট তাঁর টেবিলে জমা দিতে বলেছেন।
জনা গিয়েছে ঘটনার শিকার ব্যক্তিকে ওই টিভি চ্যানেলের তরফে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানিয়েছেন, অফিসের টার্গেট পূর্ণ করতে না পারায়, তাঁর সঙ্গে অফিসে এই ব্যবহার করা হয়। জানা গিয়েছে, কেরলের কালুরে এক মার্কেটিং সংস্থায় এই ঘটনা ঘটেছে। এই তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ এও জানিয়েছে, তাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসনি ঘটনার। পাশাপাশি সংস্থার কর্ণধারও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, বলে জানিয়েছে কেরল পুলিশ। পুলিশের তরফে বাল হয়েছে,' এখনও পর্যন্ত কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি, এবং তদন্ত চলছে।' এদিকে, কেরলের শ্রমমন্ত্রী সিবনকুট্টি ঘটনাকে ‘হতবাক করার মতো ও বিরক্তিকর’ বলে দাবি করেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান,' আমি ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি এবং জেলা শ্রম কর্মকর্তাকে তদন্ত করে ঘটনার সাথে সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।'